চট্টগ্রাম থেকে- ওচমান গণি:
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীর ইটভাটাভাটাগুলো তে ইটের সাইজ যেমন ছোট তেমনি কয়লায় পুড়ানো ইটের বদলে লাকড়ীতে পুড়ানো ইট সরবরাহ করে ঠকা নো হচ্ছে ভোক্তাদের। নিম্ন সাইজের ইট ব্যবহার করে শতকরা ৫ টাকা গচ্ছা দিচ্ছে। ভোক্তাদের দাবী ইটভাটা গুলোতে প্রশাসনের জরুরী অভিযান।
সরেজমিনে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মোহ ছেন আউলিয়া সড়কের সামশু কোম্পানি ও নিকটস্থ সিরাজ কোম্পানির ইটভাটা এবং বাঁশখালী উপজেলার জয়নাল আবেদীন ঝন্টু কোং ইটভাটা পরিদর্শনে দেখা যায় ব্যাপক অনিয়ম।
রাস্তা ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে ইট অন্যতম। কিন্তু সঠিক মাপের ইট প্রস্তুত না হওয়ায় কাজের গুণগতমান ঠিক রাখা যাচ্ছে না।আর এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের দ্বন্দ্ব চলছে।তাই উন্নয়নমূলক কাজের গুণগতমান ঠিক রাখ তে,ইটে র সঠিক মাপ নিশ্চিত করতে সকর জেলাপ্রশা সকের কাছে নির্দেশনা দেওয়া হলেও রহস্যজনক কার নে নিরব জেলা প্রশাসক সহ ভোক্তা অধিকার।
বিগত ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্ত রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অনুরোধপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছিল।‘স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইট প্রাপ্তির লক্ষ্যে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়ার’ বিষয়ক অনুরোধপত্রে বলা হয়, এলজিইডিতে রাস্তা ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে ইট অন্যতম।
প্রতি বছর এলজিইডি’তে প্রচুর পরিমাণ ইট ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিএসটিআই এবং অন্যান্য আর্ন্তজাতিক সংস্থার পরিমাপ অনুসারে স্ট্যান্ডার্ড ইটের সাইজ দৈঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার (৯ দশমিক ৫ ইঞ্চি) প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার (৪ দশমিক ৫ ইঞ্চি) এবং পুরুত্ব ৭ সে ন্টিমিটার (২ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি)।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান বাজারে প্রচলিত ইটের সাই জ স্ট্যান্ডার্ড সাইজের চেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছোট।
সঠিক সাইজের ইট তৈরি হচ্ছে না বা পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় নানা রকমের সমস্যা হচ্ছে।
‘
ইটের সাইজ ছোট হওয়ায় ৫ ইঞ্চি ও ১০ ইঞ্চি পুরুত্বে র দেওয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক পুরুত্ব রাখা যাচ্ছে না।প্রতি ১০০ ঘনফুট খোয়া তৈরির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সাই জের ৮৫০টি ইট প্রয়োজন হয়;সাইজ ছোট হওয়ায় বা স্তবে ৮৫০ ইটের পরিবর্তে প্রায় ১০০০টি ইট প্রয়োজন হচ্ছে।ইটের এইচবিবি রাস্তা তৈরিতে ইটের সাইজছোট হওয়ায় বেশি পরিমাণ ইট প্রয়োজন হচ্ছে।
এসব কারণে ঠিকাদারদের সঙ্গে তদারকীর দায়িত্বে নি য়োজিত প্রকৌশলীদের দ্বন্দ্ব হচ্ছে এবং উন্নয়নমূলক কাজের মান ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।অনুরোধপ ত্রে আরও বলা হয়েছিল,দেশের পল্লী অবকাঠামোসহ সব উন্নয়নমূলক কাজের গুণগতমান ঠিক রাখারস্বার্থে ইটের সঠিক সাইজ (৯.৫”x৪.৫”x২.৭৫”) নিশ্চিতক রণে সব জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই সব নির্দেশনার পরও উল্লেখ্য ইটভাটা গুলোর ইটে র সাইজ ৬”ইঞ্চি ছোট যা ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক ঠক ছে। এ ছাড়াও ভাটিকে হাওয়াই করে কয়লা পুড়ানোর স্থলে অবাধে পুড়ানো হচ্ছে লাকড়ী। ফলে একদিকে ম্যানগ্রুভ বন উজাড় হয়ে ক্ষতিতে পড়ছে পরিবেশ-প্রতিবেশ। পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ও ইটের সাইজ নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানের দাবী ভোক্তা সহ সচেতন মহলের।