সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবিঃ
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ সিনিয়র রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌকিদার মোড়ের দক্ষিণে মাস্টার পাড়া( বাগভান্ডার) নামক স্থানে এই অসহায় পরিবারের দিন কাটছে খুবি কষ্টে এবং অনহারে,নেই দেখার কেউ থাকে সরকারি এক সোরু রাস্তার উপরে।পরিবারে রয়েছে ছেলে মেয়েসহ ৭ জন।
এ যেনো এক দুর্ভিক্ষ, আদি যুগের বসবাস।যে সোরু রাস্তার উপরে বাড়িটি করে আছেন সেটা আসলে বাড়ি নয় রোদ বৃষ্টি নিবারণের জন্য কলা গাছের পাতা,খড়, কিছু টিন দিয়ে উপরের চাল ও বেড়াসহ দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে। প্রচন্ড খরা রোদে চালের ছিদ্র দিয়ে নিচ থেকে মনে হয় উপর থেকে কেউ ছবি তুলে যাচ্ছে।
খরা রোদে ছবি তুললেও বর্ষায় অঝোরে পানি পড়তে থাকে তাতে করে থাকার যতটুকু জায়গা সেই জায়গায় টুকুতেই পানি পড়ে বিছানা যায় ভিজিয়ে। পরিশেষে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে আবু তালেব সেই ছাউনির নিচে কোনায় সবাইকে নিয়ে বসে থাকে, অপেক্ষায় থাকে কখন বৃষ্টি থেমে যাবে।
যেখানে বসবাস করে আসছে সেই সোরু রাস্তার উপরে এভাবে বসবাস করে আসছেন প্রায় ২ বছর যাবত। তার আগে তারি পাশে এক বাগানে বসবাস করতেন প্রায় ১০ বছর যাবত।কিন্তু নির্মম পরিহাস নিয়তির খেলা ওই জমির মালিক তাদেরকে তারিয়ে দেয় জমির মালিকের জমি লাগবে বলে।ওই জমি থেকে তারানোর পর থেকেই মাথা গোছার যায়গা কোথাও হয়নি,
পরিশেষে তারি পাশে এই সরকারি সোরু রাস্তার উপরে পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে ঝর বৃষ্টিকে সাথে নিয়ে বসবাস করে আসছে মৃত আবেদ আলীর ছেলে আবু তালেব উদ্দিন (৫০)আবু তালেব উদ্দিন বলেন আমার শুধু ১৫ টাকা কেজি চাউলের ফেয়ারকার্ড আছে তাছারা আমাকে মেম্বার বা চেয়ারম্যান কেউ কোনো প্রকার সরকারি বেসরকারী অনুদান বা সহযোগিতা করেনি।
ওই ওয়াডের মেম্বারকে বিষয়টির জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।এই অসহায় পরিবার সাহায্য চেয়েছেন সরকার ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে।