প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহে অনুমোদন বিহীন ভবন নির্মাণে র অভিযোগ এবং ভবন নির্মাণের মাটি দিয়ে খাল ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর কাঁচিঝুলি জোবেদ আলী রোড ২নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম সংলগ্নে খালের পাশে অনুমোদন বিহীন ১০/১২ তালা ভবন নির্মাণ ও ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিং থেকে উত্তোলিত বালু দিয়ে খাল ভরাট করছে বলে জানা যায়।
ভবন নির্মাণকারীগন মসিকের কোন আইন আমলে না নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মাণ কাজ।মসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জানা যায়, রমজান মাসে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে এক মাসব্যাপী ২নং ওয়ার্ডের খালটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে খনন করা হয়। এখানে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। তবে ভবনের পাইলিং থেকে উত্তোলিত বালু দিয়ে খাল ভরাট যে বা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুল ইসলামগং নামে একাধি ক ব্যাক্তিরা এ ভবন নির্মাণ কাজ করছে এরা এলাকায় প্রভাবশালী বলে কেউ কিছু বলতে পারে না।অনুমোদন বিহীন ভবন নির্মাণের অভিযোগে ময়মনসিংহ সিটি কর্পো রেশন নির্মানাধীন ভবনটির পাইলিং এর কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে দেখতে পায় ভবনটি বিল্ডিং কোড বিধিনিষেধ অনুসরণ না করেই ভবনটির পাইলিং কাজ পরিচালনা করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী পাইলিং এর কাজ পরিচালনা না করায় পাইলিং এর মাটিভরে সিটি কর্পোরেশন এর ড্রেন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিদর্শনকালে অনুমোদিত নকশা দেখতে চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় ৭ দিনে র মধ্যে অনুমোদিত নকশা নগর পরিকল্পনা বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে গত ১৯/০৬/২৩ তারিখ কামরুল ইসলাম গং পিতা: মোখলেছুর রহমানের বরাবর চিঠি দেওয়া হলে তা ৩ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও অনুমোদিত নকশা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান মসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস।একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। খাল-বিল ও ডোবা-নালা ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে ভবন ফলে সৃষ্ট হচ্ছে জলাবদ্ধতা।এতে ভোগান্তিতে নগরবাসী।
বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনাতো মানা হচ্ছেই না,এমনকি অগ্নিনিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও মানছেন না প্রভাবশালী এসব ভবন মালিক। আর এভাবেই প্রতিদিনই অনিরাপদ হয়ে উঠছে নগর জীবন।এই বিষয়ে ভবন মালিক কামরুল ইসলাম গং এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।