June 12, 2025, 4:19 pm
শিরোনামঃ
চকরিয়ার লালব্রীজ এলাকা থেকে বাঁশখালীর গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার শাহজাদপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার প্রেমিকা ও তার মা, হাসপাতালে ভর্তি লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আগুন ক্ষমতা দখল করলেই সরকার হওয়া যায় না — এটা দুনিয়া দেখিয়ে দিল ইউনুসকে লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘ফাইটার বাবলু’ কুপিয়ে হত্যা আওয়ামী লীগ করার অপরাধে গভীর রাত্রে সন্ত্রাসীদের হামলায় নাছির মেম্বার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লক্ষ্মীপুরে হাতকড়াসহ আ.লীগ নেতাকে ছিনতাই, পুলিশ ‘অবরুদ্ধ’ কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার কৈয়ারবিলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১; আহত ১ ঢাকার গুলিস্তানে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

ময়মনসিংহে ঈদেরদিনে খুন হওয়া দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন পুলিশ সুপার

Reporter Name

প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহে ঈদেরদিনে পৃথকভাবে খুন হওয়া অসহায় দুই পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক সহায়তা করলেন জেলা পুলিশ সুপার।মঙ্গলবার ২ মে দুপুরে খুন হওয়া দুই পরিবারের সদস্যদেরকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা জানান, ঈদের দিন ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর ডি এন চক্রবর্তী রোডে অটো চালক হাবিবুর রহমান এবং গোহাইলকান্দি পশ্চিম পাড়া রিক্সা চালক সাদেক মিয়াকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এই দুই খুনের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন,এসআই নিরুপম নাগ,এসআই শাহ মিনহাজ উদ্দিন,এএসআই সুজন চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে ঘটনার ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, অনন্ত কুমার দে, মামুন ও কাজী মোঃ মাহিন বাদশা। এদের মাঝে অনন্ত ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ ও মামুন কমার্স কলেজের ছাত্র। অনন্তের বিরুদ্ধে কোতোয়া লী মডেল থানার মামলা নং- ২০ তাং- ০৯-১২-২০২০, ধারা- ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারার অস্ত্র মামলা চলমান রয়েছে। অন্য দুই আসামীর বিরুদ্ধেও স্থানীয়ভাবে বিরুপ তথ্য পাওয়া যায় এবং তারা নেশাগ্রস্ত। তারা উভয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পূর্বপরিক ল্পনা অনুসারে রিক্সা ভাড়া করে কৌশলে কাঙ্খিত স্থানে নিয়ে একই ছুরি দিয়ে অটোচালক ও রিক্সাচালক দুইজন কে হত্যা করে তাদের সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন,এ দুটি হত্যা মামলার তদন্তকালে উপা র্জনক্ষম এই দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবার দুটির আর্থিক দুরাবস্থা ও মানবেতর অবস্থা পুলিশের চোখে পড়ে। যা আমাদের হৃদয়ে মারাত্মকভাবে নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষিতে আমি (পুলিশ সুপার) এবং কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ব্যক্তিগতভাবে একান্ত মানবিক চিন্তা চেতনায় পরিবার দুটির অসহায়ত্বের বিবেচনায় তাদেরকে আর্থিক সহায়তার চিন্তা করি। আজ ঐ দুই পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে যা প্রদান করা হলো। তিনি আরো বলেন, যৎসামান্য এই অর্থ পরিবার দুুটির নামে পৃথকভাবে এফডিআর করে দেওয়া হবে। যা ইতিমধ্যেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, এ ধরনের মানবিক কাজে আমরা সব সময় কাজ করছি। এই পরিবার দুটোকে কিছুটা হলেও সহায়তা করতে পেরেছি।

এছাড়া পুনাক ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে পরিবার দুটোর সদস্যদেরকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসাথে সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগের সাথে কথা বলে অসহায় এই দুই পরিবারের সদস্যদের জন্য আরো কিছু করার চেষ্টা করবো। এ সময় রিক্সা চালক নিহত সাদেক মিয়া ১০ বছরের শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার লিজা পুলিশ সুপারের কাছে দাবি করেন আমাদের চাওয়া শুধু হত্যার বিচার। আমি আমার পিতার হত্যাকারীদের দ্রুত এবং সঠিক বিচার চাই। শিশু কন্যার আবেগীয় দাবির প্রতি সমর্থন করে পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে। আসামীদের যাতে কঠোর বিচার হয়, পুলিশ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।

পুলিশ সুপারের আর্থিক সহায়তা নিতে নিহত রিক্সা চালক সাদেক মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার দুই শিশু সন্তানসহ এবং অটো চালক হাবিবুর রহমানের দুই স্ত্রীর মাঝে ফজিলা খাতুন তার একমাত্র ছেলে সন্তান নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাঃ রায়হানুল ইসলাম, কোতোয়ালি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির,কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST