October 16, 2024, 8:15 am
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

মহাসড়কে প্রকাশ্যে বনবিভাগের চাঁদাবাজি

Reporter Name

স্টাফ রিপোর্টার:চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের আরাকান মহাসড় কের মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায়,ও চট্টগ্রাম মাদাম বিবিরহা ট বন বিভাগের অফিসের সামনে, দাঁড়িয়ে প্রতিদিন লাখলা খ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বন বিভা গের বিরুদ্ধে। অথচ,কাগজে কলমে মইজ্জ্যারটেকে কোন বন বিভাগের চেকপোস্ট নেই বলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়,সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে বৈধ-অবৈধ সকল কাঠ,বাশঁ ও

বনজদ্রব্য পরিবহনকারী ট্রাক থেকে বনরক্ষীরা চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা আদায়ে অংশ নেওয়া সকলেই শহর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা- কর্মচারী বলে জানা যায়। জানতে চাইলেকাঠ বোঝাই ট্রাকের চালক মো. রফিক টোলপ্লাজা পার হয়ে ন তুনব্রিজে এসে বলেন,মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায় বনবিভা গের লোকজন প্রতিটি ট্রাক থেকে ২-৩ হাজারকরে টাকা আদায় করেন কাগজের ভেতরে করে।

বড় ট্রাক ও ছোট ট্রাক ভেদে চাঁদার অঙ্কেও হেরফের হয় বলে তিনি জানান।ওদিকে,অনুসন্ধান বলছে,বন বিভাগের লোকজন বৈধ কাগজপত্র চেকিং করার নামে সুকৌশলে চাঁদা নেন।এমন কি চাহিদা মতো চাঁদা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় । কিছুদিন আগে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে চাঁদা নেওয়া কিছুদিন বন্ধ থাকে। পরে আবারো বন বি ভাগের সদস্যরা তাঁদের নিজস্ব গাড়িতে (ঢাকা মেট্রোঠ ১১ -৪১৩৭) এসে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে মাঝেমধ্যে বন বিভাগের একটি মোটর।সাইকেলও তাতে অংশ নেন ভিডিও চিত্রে স্পষ্টই দেখা যায়,কাঠ বহনকারী লরি ও ট্রাক গুলোকে টোলপ্লাজার সামনে দাঁড় করিয়ে বন বিভাগের লোকজনকে।

চাঁদা নিতেপ্রতিদিন ৪০টিরও অধিক কাঠ বহনকারী ট্রাক এ সড়কে আসা যাওয়া করে এতে স্থানীয় পুলিশের নামেও কৌটা রাখেন বলে জানা যায়।

অনুসন্ধানের তথ্য মিলে, প্রায় সময় এ সড়কে কাঠ ও বিভি ন্ন প্রজাতির বাঁশ বহন করা ট্রাকগুলো হলো- চট্ট মেট্রো ট- ১১০৮৬৫, চট্ট মেট্রো ট-১১১১২৩, চট্ট মেট্টো ঝ-৮০৭২২ শেরপুর ঠ-১১০০০৬, চট্ট মেট্টো-ঠ ২২০০৭১, চট্ট মেট্রো ঠ-১১১০২২,চট্টমেট্রো ঠ-১২০৬৭৯,চট্ট মেট্রো ঠ-১৪১৪১ ২, চট্ট মেট্রো ঠ-১১০১০১,চট্ট মেট্রো ঠ-৬২০২৪৬,চট্ট মে ট্রো ঠ-১১৪১৩৭ ও ঢাকা মেট্টো ঠ-১৪১২৪১।প্রতি সপ্তাহে ঘুরে ফিরে এসব ট্রাকগুলো কাঠ পরিবহনে অংশ নেন।
অভিযোগ রয়েছে,চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার তিনটি জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের।অন্য জেলা থেকে আসা বনজ কাঠ, ফার্ণিচার ও বাঁশসহ বিভিন্ন বনজদ্রব্য জেলায় জেলায় পরি বহনে ট্রানজিট পাসের দরকার হয়।কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগ জপত্রথাকা সত্বেও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা পুরণে বাধ্য হন ট্রাক চালকেরা।

জানা গেছে,চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের অধীনে শহর,রাঙ্গুনি য়া,পদুয়া,পটিয়া,কালীপুর জলদি,বারবাকিয়া,চুনতি,মাদারসা ,কুরশিয়া,দোহাজারি,পোমরা পরীক্ষণ ফাঁড়ি,পটিয়া এসএফ এনটিসির আওতাধীন ৩৬টি বিট রয়েছে।রয়েছে কোষ্টাল উপকুল,বোটানিক্যাল গার্ডেন,কক্সবাজার উত্তর দক্ষিণ,লা মা,বান্দরবান,পালবোর্ড বান্দরবান, বন ব্যবহারিক বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করেন বন বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায় কর্মরত এক কর্মকর্তা বলেন,টোল প্লাজার সিসিটিভি গুলো পরীক্ষা করলে দেখা যাবে বনবিভাগের লোকজন প্রতিদিন এসে কিভাবে চাঁদা বাজি করেন।’যার টিমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সেই চট্টগ্রাম শহর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল আলম এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস ও উপকূ লীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আমাদের অধীনে দায়িত্বে নেই। দক্ষিণের যিনি দায়িত্বে আছেন ওনার সাথে যোগাযো গ করতে পারেন। এদিকে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগেরবন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,মইজ্জ্যারটেক এলা কায় বনবিভাগের কোনো চেকপোস্ট থাকার কথা না।

যদিও থাকে তারা টাকা নেওয়ার কোনোএখতিয়ার নেই কোনো তথ্য প্রমাণ ও গাড়ির নাম্বার থাকলে আমাদের কাছেপাঠান আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page