নিজস্ব প্রতিবেদন
জন্মের পর থেকে
সন্তান সন্ততিদেরকে লালন পালন করাই প্রতিটি অভিভাবকদের মূখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। হায়াতের দুনিয়ায় প্রতিটি বাবা মায়ের কাছে জীবন যুদ্ধের সবচেয়ে বড় কঠিন ধাপ হলো সন্তান সন্ততিদেরকে মানুষের মতো মানুষ কর। তাই উচিত সন্তানদের সব সময় চোখে চোখে রাখে। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ সেটা নিয়ে সদুপদেশ দেয়া। বাবা মায়ের সারাক্ষন বকাঝকা করতে গিয়ে প্রায় সময়ই একটা চরম ভুল করে তাদের অতিরিক্ত শাসনটা করে ফেলি।
আর এই শাসনই একটা সময় কাল হয়ে দাড়ায়। সন্তানকে আস্তে আস্তে দূরে সরিয়ে দেয় বাবা মায়ের কাছ থেকে। বেশ দূরত্ব সৃষ্টি হয়, এই মধুর সম্পর্কের মধ্যে। যার জন্য সন্তানরা নিজেকে ঠিক মতো তুলে ধরতে পারে না। অভিভাবকদের দায়িত্ব হীনতায় তারা কিছু না কিছু গোপন করে থাকে, পরবর্তীতে অভিভাবকদের অজান্তেই ছেলে মেয়ে বড় ধরনের ভুল করে বসে যা কখনো শোধরানোর উপায় থাকে না। সব সময় তারা দুশ্চিন্তায় ভোগে একাকিত্বে।
আমি সবিনয়ে অনুরোধ করছি প্রিয় অভিভাবকগণ,আপনারা ভুলে ও কখনো সন্তানদের কে অতিরিক্ত শাসন করবেন না। প্রয়োজনে তাকে একবারের জায়গায় দশবার বোঝান। তার সাথে বন্ধুত্ব পূর্ন আচারন করুন। কারণ আপনাদের থেকে আপন আর কেউ নেই তার জীবনে।
মনে রাখবেন যুগটা পাল্টে গেছে আগের যুগের কথা তাদের কাছে কাল্পনিক গল্পের মতো ভৌতিক মনে কর। তারা এসময়ের উন্নত সভ্যতার প্রজন্ম যাদের হাতের মুঠোয় পুরো পৃথিবী। তাতে আবার যৌবন কালের রাগটা একটু বেশি, সেটা আপনিও পার করে এসেছেন। তাই আপনি ভালো ভাবেই বোঝেন। আপনার ছেলে বা মেয়ে যখন রেগে যায় তখন আপনি না রেগে গিয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন অল্পতেই রাগ থেমে যাবে।
তাই অভিভাবকদের প্রতি সবিনয়ে বলছি, এখনকার যুগের ছেলে মেয়েদের কে শাসন করবেন তবে সেটা পরিমিত শাসন। অপরিমিত অপশাসনে
ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত কিছু দুর্ঘটনা। কারন মানব জীবনে
৪ টি ধাপ পরিলক্ষিত হয়
তা হলো শৈশব, কৈশোর,যৌবন, বৃদ্ধ।
যৌবন কালে যুবক যুবতীরা উদ্ভট, উচ্ছৃঙ্খল ,অস্থির, ভুল সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হতে পারে
সেজন্য প্রিয় অভিভাবকদের প্রতি আমার উদ্ধাত বিনীত আহবান জানান দিচ্ছি যে
আসুন আমরা সচেতন অভিভাবক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলি। ছেলে মেয়েদের মানুষের মতো মানুষ গড়ার লক্ষ্যে তাদের প্রতি বেশি বেশি যত্নশীল হই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলি।
শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি সম্প্রীতি বৃদ্ধি করি তবে পেতে পারি একটি আলোকিত কাংখিত আগামীর প্রত্যাশিত সমাজ।