April 22, 2025, 3:37 am
শিরোনামঃ
টাকা না দিলে মাদক মামলায় ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগ এসআই মাছুদ জামালি’র বিরুদ্ধে শাহজাদপুরে মাচাল তৈরিকে কেন্দ্র করে যুবক নিহত, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তা না থাকায় বিপাকে পড়েছে গোটা পরিবার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণ নির্ধারণ করবে : যুক্তরাষ্ট্র দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না :মির্জা ফখরুল ময়মনসিংহে ডিবি হেফাজতে অমানষিক নির্যাতন যাত্রাবাড়ীতে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা ময়মনসিংহ অফিসার্স ক্লাবের শুভ উদ্বোধন
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠেছে মাদকের রামরাজত্ব,দেখার যেন নেই কেউই

Reporter Name

স্টাফ রিপোর্টার ঃ-

এক সময় নেশা হিসাবে খেতো গাঁজা। এ গাঁজা তখনকার সময় রিক্সা চালকরা বেশি খেতো এবং যুবকরাও পিছিয়ে ছিল না। এর পর আসলো ভারতীয় ফেনসিডিল। যদিও ভারতে এ ফেনসিডিল কাশিঁর ওষুধ হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। আর সেই ফেনসিডিল এ দেশে নেশা হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। আগে যারা গাঁজার ব্যবসা করতো পরবর্তীতে তারা ফেনসিডিলের ব্যবসা শুরু করে।

ফেনসিডিল খাওয়া যখন সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হলে ফেনসিডিল বিক্রেতারা কৌশলে নিরব হয়ে পড়ে। যদিও তখনকার সময় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হতো বস্তায় বস্তায়। কিন্তু সেবন করার সংখ্যা কমেনি। ফেনসিডিল বন্ধের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হলে ফেসিডিলের পরিবর্তে নতুন নামে শুরু হলো ‘ইয়াবা’। ইয়াবা দেখতে টেবলেটের মতো। যা চোখে দৃশ্য মান। ফেনসিডিল সেবনকারীরা এখন সেবন করা শুরু করেন ইয়াবা।

এ ইয়াবা বর্তমানে স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীর ছেলে ও মেয়েরা প্রতিনিয়ত এ মরণ নেশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। যা এমন অবস্থায় দাড়িঁয়েছে উপজেলার প্রতিটি ঘরে, ঘরে এর বিস্তার ঢুকে গেছে। এ সর্বনাশা ইয়াবা খেয়ে প্রতিটি সংসারের মধ্যে জলছে তুসের আগুন।মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই প্রতিটি পাড়া মহল্লার অলিতে, গলিতে উঠতি বয়সি যুবকদের আনা গনা লক্ষ্য করা যায়।

বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছাত্র, যুবক, রাজনীতিক কর্মী এবং ব্যবসায়ী সহ এক শ্রেণীর যুবক-যুবতীরা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ইয়াবার জ্বরে লিপ্ত হচ্ছে। সূত্র জানায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার ০১ নং মাধবখালী ইউনিয়নের চৈতা নিবাসী শহিদুল ইসলাম এর বখাটে পুত্র সাইফুল ইসলাম সোহেল দেশের বিভিন্ন বর্ডার অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের রাজধানীর মিরপুরে তার ভাড়া বাসায় মৌজুদ করে,

এবং সেখান থেকে তার বিশ্বস্ত বাহিনীর দ্বারা উপজেলার উঠতি বয়সের ছাত্র, যুবক, রাজনীতিক নেতা কর্মী , ব্যবসায়ী সহ যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুনীদের কাছে পাইকারী ও খুচরা মূল্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা বিক্রয় করিয়া আসতেছে। আর এ জন্য তিনি কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন উঠতি বয়সের যুবক ও যুবতীদের দিয়ে স্বামী স্ত্রী রুপে পরিচয় দিয়া অভিনব কায়দায় ইয়াবা বহন করিয়া ইয়াবার মোটা চালান মির্জাগঞ্জ এ প্রবেশ কারন।

রাতের বেলায় বিভিন্ন চেকপোস্টে মহিলা পুলিশ না থাকার কারনে বিভিন্ন যুবতীদের দ্বারা ইয়াবা বহন করে আসছেন এই মাদক সম্রাট।বর্তমান সরকারের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও সাইফুল ইসলাম সোহেল মির্জাগঞ্জ প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে যুব সমাজের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মরণ আগুন ইয়াবা। এছাড়াও সোহেল এর রয়েছে ইয়াবা ব্যাবসায়ীদের ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। তথ্য সুত্রে জানাযায় এরা হলো ১,নাজমুল শিকদার, (২৬)পিতা রুহুল আমিন শিকদার, গ্রাম রামপুর,

১ নং ওয়ার্ড, (২,লোকমান মৃধা (২৫)পিতা জলিল মৃধা,(৩,মনির মৃধা (৩০)পিতা মোস্তফা মৃধা, গ্রাম কাঠালতলী,৪নং ওয়ার্ড,(৪,রুবেল শিকদার, (২৮)পিতা মৃত নিজাম শিকদার, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ৮ নাম্বার ওয়াড, আরো অনেকে, যাদের দ্বারা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবা পাইকারি দরে পৌছে দিচ্ছে বীরর্দপে।

বিশিষ্ট গুনীজনদের দাবী মির্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফা( রঃ)এর পূর্নভুমি মির্জাগঞ্জ এখন ইয়াবার পূর্নভুমিতে ছয়লাব করেছেন মাদক সম্রাট সাইফুল ইসলাম সোহেল ও তার দলবল। এই মরণ নেশার টাকা জোগাতে যুবকরা লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধের সাথে। অতি সহজলভ্য এ মাদক সেবনের অর্থ যোগাতে তারা যে কোন অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করেনা। যে কারণে মরণ আগুনে ঝাপিয়ে পড়ছে যুবকরা। অভিভাবকরা তাদেরকে শত বাধ্যবাধকতার মধ্যে রেখেও ফেরাতে পারেনি মরণ নেশা ইয়াবা নামক ভাইরাস থেকে।

ইতিমধ্যেই এই মাদক সম্রাট র‌্যাব,পুলিশ ও ডিবি পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও তিনি অজ্ঞাত শক্তির ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে শুরু করে দেন মরণনেশা ইয়াবার রমরমা বাণিজ্।মহামারি এই ভাইরাস ঠেকাতে সমাজের সচেতন লোকজন র‍্যাব- এর অধিনায়ক ও জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দাতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছেন।

যাতে করে যুব সমাজ ইয়াবার আগুন থেকে রেহাই পায়। বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইয়াবা সেবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত এ মহামারি প্রকট আকার ধারন করছে। এক শ্রেণীর নব্য পাতি নেতারা এসব নেশা দ্রব্য সেবন ও বিক্রির নেপথ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে।সাইফুল ইসলাম সোহেল ও তার বাহিনী দ্বারা পাড়া মহল্লার ছোট দোকানিদের মাধ্যমে ইয়াবার কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সিন্ডিকেট চক্র। অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। যে সকল স্থানে প্রতিনিয়তই ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে এসব স্থানে দিনের বেলায় ইয়াবা সেবিদের আনাগোনা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা যায় যুবদের আনাগোনা।

ইয়াবা সেবন করার জন্য যে কোন উপায়ে এটি পাওয়ার জন্য ইয়াবা সেবিরা পাগল হয়ে উঠে।মির্জাগঞ্জ উপজেলা ও প্রত্যেক ইউনিয়ন ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে ও গ্রামে,গ্রামে মাদক পাওয়া যায়।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST