প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহে মেঘনা গ্রুপের ডিপোতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতদলের হেফাজত থেকে লুিণ্ঠত ৪ হাজার লিটার সোয়াবিন তেল ও একটি ট্রাক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দের মাঝে চার ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার ১ নভেম্বর ২০২২ দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং য়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এ সব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বেলতলী নামক এলাকায় মে ঘনা গ্রুপের ডিপোতে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাতদল কর্মচারী পরি চয়ে ঐ ডি পোতে প্রবেশ করে পাহারাদের হাত পা বেধে রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ৬ ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি করে। ডাকা তদল মেঘনা গ্রুপের একটি ট্রাকে করে (কোম্পানীর ট্রাক ভর্তি) ৮ হাজার ৩৮৮ লিটার সোয়াবিন তেলের কার্টুন ও নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকা, আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র সহ ২৯ লাখ ২৬ হাজার ২৪৬ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এই ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং-১২/১০০০ তারিখ-২৩/ ০৯/ ২০ ১২ ইং ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড)।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী মলে থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দের পরিকল্পনায় পুলিশ পরিদর্শক ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে এসআই নিরুপম নাগ, মিনহাজ উদ্দিন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা সহ একটি চৌক স ও শক্তিশালী টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে কয়েক দফায় ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এর মাঝে গত ২৮ সেপ্টম্বর ভালু কার জামাল হোসেনকে জয়দেব পুর থেকে,
নজরুল ও আবু সাঈদ সৈকত ওরফে শওকতকে জামালপুর থেকে,বাদল ওরফে আস লামকে বরিশাল থেকে,মোঃ ইন্তাজ আলীকে টঙ্গী থেকে, মোঃ রাকিবকে নীলফামারী ও মোঃ ইউনুছ. কে রাজ ধানীর খিলগাও থেকে গ্রেফতার করে। এর মাঝে ইন্তাজ আলী,নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ সৈকত ওরফে শওকত ও বাদল ওরফে আসলাম ডাকাতির ঘটনায় নিজেদের জড়িয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতদের তথ্য মতে মেঘনা গ্রুপের লু ণ্ঠিত আলামত ১৩ লাখ টাকা মুল্যের ট্রাক ও একটি মোবাইল ফোন গাজীপুরের টঙ্গী থেকে উদ্ধার করে। ডাকাতদলের তথ্য মতে, কোতো য়ালী পুলিশের চৌকস এই টিম টানা দুদিনের অভিযানে শরীয়তপুর থেকে ৪ হাজার লিটার সোয়াবিন তেল, যার মুল্য প্রায় ৭ লাখ ২৮ হাজা র টাকা উদ্ধার করে। এ সময় শরীয়তপুরের ডা কাত মোঃ আবুল কালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এই ডাকাতদলের সর্দার জয়নাল। এই ডাকাতদলে ২৫/৩০ জনের সদস্য রয়ে ছে যাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিভিন্ন অপ রাধে জেলখানায় থাকা কালে তাদের পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে জামিনে এসে সবাই গাজীপুরে কাছা কাছি বসবাস শুরু করে এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
পুলিশ সুপার গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বরাত দিয়ে আরো বলেন,ডাকতদলের এ সব সদস্য দিনে পিকআপ চালানোসহ নানা পেশায় জড়িত থাকলেও তাদের দলনেতা জয়নালের নেতৃত্বে বিভি ন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি,
দুঃসাহসিক চুরিসহ নানা ধরনের অপরাধ করে আস ছে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আ কন্দ বলেন,ডাকাতদলের সর্দার জয়নালসহ অন্যা ন্যদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা চল ছে। এদের মাঝে অনে কেই পুলিশের নজর দারি তে রয়েছে। পুলিশের একা ধিক টিম মাঠে রয়ে ছে। তিনি আশা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে আ রো কয়েকজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) খন্দকার ফজলে রাব্বি,রায়হানুল ইসলাম,ফালগ্নুনী নন্দী,শাহীনুল ইসলাম ফকির ও কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।