সানজিম মিয়া – রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জে সোমবার দুপুরে খেতাবের পাড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের বিরোধকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে ১৫ জন।আহতদের মধ্যে সংঘর্ষকারীসহ, এক শিক্ষার্থী, পীরগঞ্জ থানার ওসি এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ মাস পুবে খেতাবেবর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয় । একটি পক্ষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ না করতে আল্টিমেটাম দেয়। ফলে নির্বাচনের পর থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যলয়ে আসেননি।
এদিকে সোমবার (১০ অক্টোবর) প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসবেন বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠি সোডা ও ধারলো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেয় ।এ সময় প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিকটে পৌছা মাত্র প্রতিপক্ষের লোকজন প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা করে।
হামলায় প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী আহত হন এবং বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অনন্তপুর গ্রামের আনারুল হক এর পুত্র আকাশ (১৩) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।আহত হয়েছে প্রধান আনারুল সহ আরও বেশ ক’জন।হামলার এক পর্যায়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোস সহ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসী ওসিকে অবরুদ্ধ ও প্রহার করে।এ সময় পুলিশের সঙ্গে দূর্বৃত্বদের সংঘর্ষে পীরগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল, এসআই সাইদুল,এসআই আকতার হোসেন, এস আই নুর আলম সহ বেশকয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী,সহকারী পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামান, ও মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে পেঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল ও উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এলাকায় র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ১১ জনকে আটক করেছে এবং নিহত আকাশ এর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান মুঠোফোনে জানায়, এখন পর্যন্ত ১১ জনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পৃথক ২টি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।সেই সঙ্গে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে।