নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছেপুলিশ নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যাপোঁনে সাতটার দিকে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানারএক দল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্য মের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিরসঙ্গে সম্পৃক্ত।তার বাড়িতে অভিযানে যাওয়া এক পুলিশ কর্মক র্তা জানান, বাড়িটিতে জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মীর গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালানো হয়।তবে বাড়ি তে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে কোনকিছু জব্দও করা হয়নি জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য এই চিকিৎসককে থানায় নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডা. ফাতেমার সিদ্দিকাকে আটক করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমা ন বলেন,এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকা কে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেন নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারবো না তিনি আমাদের একজন সুধী অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন।
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয় জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাদের মধ্যে ডা. ফাতে মা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টারনামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে।গত ৪ এপ্রিল এই চিকিৎস কের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনা তে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলামভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।