নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পৌরসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। আসন্ন ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ইতো মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই চলছে প্রভাব বিস্তার ও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। এবারে বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন,আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের আক্কাস আলী। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছে নৌকা প্রতীকের শাহীনুর রহমান পিন্টু। তবে ধারের কাছেও নেই অন্য দলের সমর্থক প্রার্থীরা।
নৌকা প্রার্থী শাহীনুর রহমান পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, নৌকার নির্বাচনীয় প্রচার প্রচারণার অফিস পুড়িয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস আলীর কর্মী সমর্থকরা। এ বিষয়ে তারা থানায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ দিয়েছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সরকার বিবেচনা করলে আমার বিশ্বাস, জনগণ নৌকাকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে।
এদিকে অফিস পুড়ানোর স্থানে সরেজমিনে গেলে উঠে আসে আসল চিত্র। সেখানে স্থানীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরাই আগুন লাগিয়ে বিরোধী পক্ষকে দমনের চেষ্টা করছেন।অপরদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের আক্কাস আলী বলেন,নির্বাচনী এলাকায় কেউ ৫ টির বেশি প্রচার প্রচারণার অফিস করতে পারবেন না। অথচ নৌকা প্রতীকের অফিস আছে ৩০টির উপরে। এটি নির্বাচনীয় প্রচার বিধি লংঘন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন এলাকায় বাধাদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন,‘দলের সমর্থন না পেলেও জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ জগ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।
আমার গণজোয়ার দেখে সরকার দলের প্রার্থীর লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রচারণায় বাধা-বিঘ্নসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। ভোট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হলে বিপুলভোটে জয়ী হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাছ আলী।পৌরসভা নির্বা চনী পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে। প্রতিনিয়তই পুলিশ মাঠ পর্যবেক্ষণ করছেন।সরকার দলীয় নৌকা প্রার্থীর অভিযোগের পাশাপাশি একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তা তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কথা বললে, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহ কারী রিটার্নিং অফিসার মুজিবুল আলম বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর দেওয়া অভিযো গের বিষয়ে অবগত হয়েছি। কেউ যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় কঠোর নজরদারি রয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নির্বাচনে মেয়র পদে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন,পৌর বিএনপির সভাপতি (বহিষ্কৃত) কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন,পৌর জামায়াতের আমির নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন।পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৩১৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ ৮১২ এবং মহিলা ভোটার ১৫৮৫৭ জন।কথা বললে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আবুল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত পৌরসভা এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চলছে। মাঠে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর আছে। সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।