সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবিঃ
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকা সিনিয়র রিপোর্টার।
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস’র বিরুদ্ধে সাইলর ড্রাম বিতরণ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী।
সাইলর ড্রাম না পেয়ে রাজীবপুর কাচারীপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র রফিকুল ইসলাম, দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর এবং জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রামকে অনুলিপি দিয়ে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষি বীজ সংরক্ষণের জন্য রাজীবপুর সদর ইউনিয়নে এক হাজার ৭ শত সাইল’র বরাদ্দ দেওয়া হয়। মূল তালিকার অর্ধেক ব্যক্তিই পায়নি সাইলর ড্রাম।
সাইলর বরাদ্দ হয় সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল থাকা অবস্থায়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চুড়ান্ত তালিকা পাঠান, যা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সাবেক ওই চেয়ারম্যান।
সাইলর ড্রাম বিতরণের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, গত ২ আগষ্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতেই আমি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্তের রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।