নিজস্ব ড্রেক্স:
“রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা” পোষ্টে। মুসলিম উম্মাহের জন্য রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জানা অনেক জরুরি। কারণ পুরো রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখতে হয় এবং ইফতারের সময় ইফতারের দোয়া পড়তে হয়।
একজন রোজাদার হিসেবে আপনার জন্য আজকের পোস্টটি অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তাই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে রোজার সময়ে সরবচ্চ সাওয়াব লাভের জন্য অনেক আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের পোষ্টে।
আজকের পোষ্টে আমরা রোজার নিয়ত আরবিতে, বাংলা উচ্চারণ এবং রোজার নিয়ত বাংলায় দেখবো। এবং ইফতারের দোয়া জানবো। ইফতারের দোয়া সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও জানবো।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক “রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা” শিরোনামে আজকের পোস্টটি
রোজার নিয়ত বাংলায় রোজার নিয়ত:
প্রিয় পাঠক, আপনি রমজান মাসে রোজা রাখেন। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খান। এতেই আপনার রোজার নিয়ত করা হয়ে যায়।
আলাদাভাবে রোজার নিয়ত করার প্রয়োজন হয় না।
এরপরেও অনেকে রোজার নিয়ত করার চায়। আপনি যদি রোজার নিয়ত করেন তাতে কোনও পাপ নেই। রোজার নিয়ত মুখে পড়লে ভালো, তবে না পরলেও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুনঃ রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি কি কি কারণে রোজা মাকরুহ হয়।
এবার চলুন যারা রোজার নিয়ত মুখে পড়তে চান তাদের জন্য রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলায় দেখে নেওয়া যাক।
আরবি রোজার নিয়তঃ – نَوَيْتُ اَنْ- اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ- – فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ- الْعَلِيْم.
আরবিতে রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন-আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি-ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল-মিন্নী ইন্নাকা আং-তাস সামীউল আলীম।
বাংলায় রোজার নিয়তঃ হে আল্লাহ- আগামীকাল পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে তোমার পক্ষ থেকে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম। অতএব তুমি আমার রোজাকে কবুল করে নাও, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞানী।
এই দোয়াটি আপনি সেহরি খাওয়ার পর রোজার নিয়ত বাংলায় করতে পারেন। রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ সহ জানতে পারলেন।
এবার, আমরা ইফতারের দোয়া এবং ইফতার সম্পর্কিত কিছু আমল সম্পর্কে জানবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইফতারের দোয়া এবং ইফতারের নিয়ত সম্পর্কে।
ইফতারের দোয়া । ইফতারের নিয়ত
প্রিয় পাঠক, সেহরি খাওয়ার পর রোজার নিয়ত যেমন মুখে না পরলেও রাতে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায় ঠিক একই রকম ইফতারের নিয়ত কিংবা ইফতারের দোয়া -র বেলায়ও একই।
অর্থাৎ, আপনি সারাদিন রোজা রেখে ইফতারি সামনে নিয়ে বসছেন এটুকুই আপনার ইফতারের নিয়ত এর জন্য যথেষ্ট।ইফতারের দোয়া আলাদা করে করার কোনও প্রয়জন নেই।
আরও পড়ুনঃ রোজা ভঙ্গের কারণ, মাকরুহ, যখন রাখা লাগবে না
এরপরেও অনেকে ইফতারের দোয়া কি তা জানতে চান।
ইফতারের দোয়া যদি আপনি মুখে পড়তে চান তাহলে ইফতারের নিয়ত বা দোয়ার জন্য নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন।
ইফতারের দোয়া আরবিতেঃ .اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ- وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
আরবি ইফতারের দোয়ার বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মালাকা ছুম-তু ওয়াআলা রিযক্বিকা-, ওয়া আফতা রতু বিরহ মাতিকা ইয়া আরহামার রহি-মিন।
ইফতারের দোয়া বাংলায়ঃ হে আল্লাহ তায়ালা, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি। এবং তোমার -ই দেয়া রিযিকের মাধ্যমে ইফতারি করছি।
এছাড়াও বাংলায় আরও একটি ইফতারির দোয়া আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলায় ইফতারির দোয়া।
বাংলায় ইফতারের নিয়ত বা দোয়াঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার নির্দেশিত রোজার ফরয রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত সময়ে ইফতারি করছি।
তারপর “বিসমিল্লাহি ওয়া’আলা বারাকাতিল্লাহ” বলে ইফতার করবেন।
ইফতারের সময় দোয়া কবুলের সময় । রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা -য় জেনেছেন। আশা করছি এই বিষয়ে আর কিছু জানতে বাকি নেই।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারের সময় দোয়া কবুলের সময় আমরা সবাই জানি।
কিন্তু ইফতারের সময় কিভাবে দোয়া করতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
ইফতারি সামনে নিয়ে কোনও ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কোনও সঠিক দোয়া করেন তাহলে আল্লাহ ওই ব্যক্তির দোয়া কবুল করে নেন।
“ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে করা কারোর দোয়া আল্লাহ তায়ালা (খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না) ফিরিয়ে দেন না”।
তাই আমাদের ইফতারি সামনে নিয়ে ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে দোয়া করতে হবে।
রিবার, স্বজন, নিজ এবং পারিপারশিক যত বিষয়ে দরকার আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করতে হবে।
ইফতারি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে যেন একটু দেরি না হয় ইফতারি করতে।
তাই অহেতুক কোনও কারনে ইফতারিতে দেরি করবেন না।
আরও পড়ুনঃ রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া (উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ)
মহানবি ইফতারি করার প্রসঙ্গে বলেন,
“কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তত দিন পর্যন্ত ভালো থাকে যতদিন পর্যন্ত সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতারি করে”।