লক্ষ্মীপুর জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সময়ের আগে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটি ব্যাক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে হত্যাকান্ড।কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয়। বিএনপি কর্তৃক দাবীকৃত সজীব নামক এক ব্যাক্তির হত্যাকান্ডের যে ঘটনা ঘটেছে,তা প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে রাত্রী দেড় ঘটিকায় হত্যাকান্ডের পিও তে গিয়ে ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা সজীব এর মৃত্যু এবং ভাড়াটিয়া মো:নোমান হোসেনের সাথে সজীবের শেষ মুহুর্তে কিছু কথা হয়,যা অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। প্রকৃত ঘটনা হলো,
বিএনপির সাথে পুলিশের যে স্থানে সংঘর্ষ স্থান হয়, সেখান থেকে হত্যাকান্ডের স্থানের দূরত্ব আনুমানিক ২/২.৫ কি:মি:।বিএনপির পদযাত্রার রুটের সম্পূর্ণ বিপরীতে মূল সড়ক হতে দেড়শ গজ দূরে কলেজ রোডের পাশে ফিরোজা টাওয়ারের গলির মুখে ৪/৫ জন ছেলে সজীবকে উপর্যুপরি ছুড়িকাঘাত করতে থাকে।একপর্যায়ে সজীব নিজেকে বাচাঁতে দৌড়ে ফিরোজা টাওয়ারের এসএস গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে দোতলায় সিড়ি দিয়ে উঠে ফ্লাটবাসার নোমান হোসেনের পাশের ফ্লাটের দরজার সামনে বসে শুয়ে পড়ে যায়।
নোমান মুমূর্ষু অবস্থায় সজীবের নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস সহ আজকের রাজনৈতিক পোগ্রামে এসেছে জিজ্ঞেসে, সজীব কোন পোগ্রামে আসেনি বলে জানায়।সজীবকে এভাবে আঘাত করার কারণ হিসেবে জানায়,পাওবা টাকা এবং বিবাহ সংক্রান্তে তারা হামলা করেছে। প্রাথমিক সরেজমিন অনুসন্ধানে,অত্র হত্যাকান্ডের সাথে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচির কোনই সত্যতা নেই।ইহা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।
নোমান ও তার ছেলে সজীবের রক্তার্ত দেহের এমতব স্থায় জরুরী কল ৯৯৯-এ কল করে।পুলিশ কল রেস পন্স করলেও বিএনপির সাথে সংঘর্ষ চলাকালীন সে মুহুর্তে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে যাবার মতো কোন পরিস্থিতি ছিলো না।পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসা অবধি পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয়।নোমান ইতোমধ্যে তার পরিচিত ৩/৪ টি এম্বুলেন্সের মালিককে কল করলেও,উত্তপ্ত এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার কারণে তারাও আসতে অপরাগতা প্রকাশ করে।
উচ্ছৃঙ্খল বিএনপি নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর কর্মকার্ণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ দ্রুত সেই হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিএনপি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য মূলকভাবে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রচার চালায়।ইতোপূর্বে ভিন্ন একটি ছবি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে গুজব ছড়ায়।যার সত্যতা আদৌ পাওয়া যায় নি।