মোঃ রবিউস সানি আকাশ,
লক্ষ্মীপুর দখলকৃত জমি নিয়ে দুপক্ষের হামলায় ৬জন আহত হয়েছে। প্রত্যেককে বলে তাদের পূর্ব জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোনোয়ার হোসেন নামে মিথ্যা মামলার জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন
এ সময় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মারামারি গঠনার সময় রাজু বাড়িতে ছিলো না মারামারির শেষে মোনোয়ার আসলে তাকে মার ধর করেন গুরুতরুভাবে যখন করে।আমাদেরকে মারিয়া আহত করার পরেও তাদের ক্ষিপ্ত হয় নাই আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা আমি নিরুপায় হয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক বিনীতভাবে অনুরোধ করব সুস্থ তদন্তের ভিত্তিতে যে অপরাধী হবে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
আর যেন আমাদের মত নিরীহ জনগণ আইনের দুয়ারে কানতে না হয় বর্তমান আমাদের সমাজে টাকার বিনিময় সত্যকে দাবাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে অসহায় ব্যক্তির পাশে কেউ থাকেনা যেদিকে টাকার গন্ধ পায় সেদিকে সবাই ছুটে যায় প্রকৃত আইন অন্ধকার হয়ে চলছে আল্লাহ পাক যেন সবাইকে হেদায়েত করার তৌফিক দান করেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন সওদাগর বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী আহত দের কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসময় মেডিকেল অফিসার বলেন একজনের আহত ব্যাক্তি গুরুতর অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয় এই কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। রাজু নামে একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও কামাল নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত হলেন সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা,অপর আহতরা হলেন- আনোয়ারা বেগম (৬০) মোঃ মনোয়ার হোসেন (২৩) সালেহা বেগম, রানী বেগম (৪৮),রোকেয়া বেগম।
এসময় ভুক্তভোগীরা বলেন,পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী গংদের সঙ্গে একই বাড়ীর আলী আকর গংদের সাথে দীর্ঘদিনে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সম্প্রতি মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে রাজু ও আনোয়ার তাদের দখলকৃত জমিনে ঘর করতে গেলে জিতু মিয়ার ছেলে রিপন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাহা আবার উভয়ের মাঝে সমাধান হয়।
রাজুর দখলকৃত জমিতে ঘরের কাজ করতে গেলে জামালের স্ত্রী কুলসুম বেগম অবৈধভাবে বাধা দেয় এতে উভয় পক্ষের মাঝে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে মারামারি শুরু হয়। এতে নারী- পুরুষ সহ ৬ জন আহত হয়।
এসময় রাজু আহমেদ বলেন, আমারা ঘরের কাজ করতে গেলে জামাল গং অন্যায়ভাবে বাধা দেয় এবং আমাদের কে হুমকি ধমকি দেয়। সোমবার ঘরের ছাদের কাজ করতে গেলে কামাল হোসেন ও জামালের নেতৃত্বে মুশফিক হোসেন সাগর, সাফায়েত হোসেন সোয়াদ, শামিমসহ তাদের মহিলারা এবং অঙ্ঘাত ৫/৬ জন তারা সংঘবদ্ধ ভাবে আমাদের নির্মানাদীন ঘরের বাশ ভেঙ্গে ফেলেদেয় এবং আমাদের এলোপাতাড়ি মারধর, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রে দিয়ে আঘাত করে।
এতে আমার হাত ও পা গুরুতর জখম হয় এতে আমি আমার মা আনোয়ারা বেগম আহত হই। খবর পেয়ে আমার ছোট ভাই মনোয়ার হোসেন আসলে তার উপরও হামলা করে তারা। আমার ছোট ভাই সুজন এ গঠনায় ছিলো না সে নোয়াখালীতে প্যারামেডিকেল কোর্স করে। আমার ভাই মোনোয়ার ও সুজনসহ আমাদের সকলের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে তারা। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি আমি এ হামলার সঠিক বিচার চাই।
এসময় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম হোসেন আফজাল বলেন, দুপুরে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে ঢাকা রেফার করা হয়েছে।
এসময় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসশিকুর রহমান অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে যারা আহত হয়েছে তাদের কে চিকিৎসা চলতেছে আগে আঁাত্রা সুস্থ হোক তারপরে সত্য উদঘাটন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে সে যত বড় ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে আইন সবার জন্য সমান অধিকার।