প্রথম বাংলা – লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে লেজার মেশিনে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে পুরুষা ঙ্গ পুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও হাসপাতা লের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চিকিৎসক সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন শিশুর নানা আনোয়ার হোসেন।গত সোমবার (৩১ জুলাই) বিকে লে রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালের (প্রাইভেট) ডিএমএফ চিকিৎসক ডাক্তার মো. সরোয়ার হোসেন, হসপিটালের পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক, রবিউল আলম রিয়াজ ও ডাক্তারের সহযোগী আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।
শিশু মাহাদির নানা আনোয়ার হোসেন জানান,তাঁর নাতি কে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য গত ৩১ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামগঞ্জ শিশুপার্ক সংলগ্ন রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে উল্লেখিত চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা লেজার মেশিনে শিশুটির মুসলমানি করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর আমার নাতির আর্তচিৎকারে ভেসে আসলে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। আমরা দ্রুত বিষয়টি জানার জন্য অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখি নাতির পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ওই দিনই নাতিকে নোয়াখালীর ডাক্তার ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ৩ দিন পর ঢাকার স্যার সলিমু ল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়নাতি অদ্যাবধি সেখানেই ভর্তি রয়েছে।’
রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালের (প্রাইভেট) ডিএমএফ চিকিৎসক ডাক্তার মো. সরোয়ার হোসেন রামগঞ্জ ইসলামি য়া হাসপাতালের (প্রাইভেট) ডিএমএফ চিকিৎসক ডাক্তার মো. সরোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ইলেকট্রিক মেশিনের অতিরিক্ত তাপের কারণে তার পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে। এদিকে নাতি হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।আমরা তার চিকি ৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম পরে সোমবার আদালতে মামলা করেছি এ ঘটনার উচিত বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে ইসলামিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার মোবাইলে কল দেওয়ার পর সবগুলো নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলেও কাউ কে পাওয়া যায়নি।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতা লের এক কর্মচারী জানান, মামলার হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে মালিক পক্ষের লোকজন খুব একটা আসছেন না।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আহম্মেদ কবীর বলেন, ‘আমি এ মামলার ঘটনাটি জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে অবশ্যই বিধি মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ডিএমএফ চিকিৎসক এ ধরনের অপারেশন বা সুন্নতে খতনা করাতে পারেন না।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি এখনো ইসলামিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার কপি হাতে পাইনি।
সুত্র, Ajker Patrika