রতন আলী মোড়ল জেলা প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার প্রতিনিধি,সানজিদ মাহমুদ সুজনকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এই ঘটনায় শুক্র বার (১৭-মার্চ) বিকেলে জাজিরা থানায় সানজিদ মাহমুদ সুজন বাদী হয়েএকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৫৫৮ )করেছে।এর পূর্বে ঐ একি শিক্ষক ব্যাক্তি ও সহযোগি কয়েকজনের বিরুদ্ধে হৃদয়ে শরীয়তপুর স্থানিয় পত্রিকার সাংবাদিক সাগর আহমেদ ১৬ই মার্চ জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
জিডি ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ১৯ নং লাউখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার শীল তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেছে। এমন একটি ভিডিও তথ্য জাজিরা টিভি নামক ফেইসবুক পেইজে১৪ ই মার্চ প্রচার করা হলে ক্ষিপ্ত হয় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা তনুশ্রী রায় সহ অন্য শিক্ষকরা।এর পর সাংবাদিক সাগর ও জাজিরা টিভির পেইজ পরিচালনাকারি রতন মোড়ল কে মুঠোফোনে ম্যানেজ করার চেস্টা করে।সেই সাথে সাধারন সম্পাদক সানজিদ মাহমুদ সুজনকে হাস পাতালের নিচ তলায় পেয়ে অরুন কুমার শীল বিষয়টি দেখার জন্য বলে।কিন্তু ঐ সময়ে রতন আলী মোরল ও সাংবাদিক সাগর আহমেদ মুঠোফোনের সেই বক্তব্য তারা পুনরায় ১৬ তারিখে একিই পেইজে প্রকাশ করে।যার কারনে সাংবাদিক সানজিদ মাহামুদ সুজনের সাথে, সাগর আহম্মেদ ও রতন আলি মোরলের আরো কয়েকজন সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশের কথা শোনা যায়।
২য় নিউজ প্রকাশের পরপরি বিভিন্ন লোকজন মুঠোফোনে সাগর মিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালা জ করে।যে কারনে বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাগর মিয়া।গত শুক্রবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার শীল ও সহকারি শিক্ষক তনুশ্রী রায়ের ছোট ভাই সৌরভ কুমার শীলের নেতৃত্বে ৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দুপুরে সানজিদ মাহমুদ সুজনের ভাড়া বাসা য় যায় এবং তারা সুজনকে গালিগালাজ করে সাংবাদিক দের পেইজে দেওয়া ভিডিও না উঠালে তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।ঘটনার পরপরই থানায় গিয়ে জিডি করেন তিনি।সাংবাদিক সুজন যে বাসায় ভারা থাকে তার উপরের মাদ্রাসার সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় সৌরভ ও তার সহযোগীরা সিসি টিভি এরানোর চেস্টা করে বিল্ডিংয়ে প্রবেশের সময়।সকাল ১২টা ১০ মিনিটে একেক দিক হতে ৫ জন প্রবেশ করে ও ১২ টা ৪৫ মিনিটে তারা আবার বেরিয়ে যায়।
তবে হুমকির ও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিক্ষক অরুণ কুমার শীল ও তার ভাতিজি সহকারী শিক্ষি কা তনুশ্রী রায় তারা জানান, এবিষয়ে কিছুই জানেন না, তার ভাইকে হুমকি দিতে কারোর বাসায় পাঠাননি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ছোবাহান মুন্সি বলেন,কোনো শিক্ষক তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করতে পারেনা।এধরণের কাজ কেউ করে থাকলে এবং তার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।তবে স্কুলের বাহিরের কোন বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারি না।দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার জসিমউদদীন বলেন,প্রাথমিক ভাবে ফুটেজ সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে,বিষয়টি গুরুতর সাথে দেখা হচ্ছে।এব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,আমি গত ২দিন থানায় ছিলাম না,প্রটোকল ও বিভিন্ন কার্যক্রমের কারনে আমরা সবাই ব্যাস্ত ছিলাম।তবে বিষয়টি আমি জানি,খুবি গুরুত্বের সাথে আমরা বিষয়টি দেখবো।অপরাধী যত শক্তিশালী হোক না কেন অপরাধী দেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে ইনশাআল্লাহ