সবুজ হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
শাহজাদপুরে প্রায় ১শো বিঘা বিস্তীর্ণ কৃষি জমির মাটি কেটে বালু দস্যুরা ইতিমধ্যেই বালু ফেলে ধ্বংসকরেছে ।তারা আরও প্রায় শতাধিক বিঘা জমির মাটি কেটে খা ল করে বালু ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনি য়নের ভুলবাকুটিয়া ও সদামারা গ্রামে। এই কাজে নেতৃ ত্ব দিচ্ছিলেন সদামারা গ্রামের ঠান্ডু প্রামাণিক ও রতন কান্দি গ্রামের জানু মোল্লা।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি) দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরু জ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে কৃষি জমিতে বালু ফেলা বন্ধ করে দেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রুপবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ মোল্লা।
এসময় দেখা যায়, এই এলাকার কমবেশি সকল কৃষি জমিই ড্রেজারের বালুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এমনকি ব ন্যার পানি নিষ্কাশনের নালা গুলোও ভরাট হয়ে গেছে এর ফলে এই এলাকার কৃষিজমি গুলো বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান,গ্রামের কিছু প্রভা বশালী মহল জোরপূর্বক কৃষকদের জমি খনন করে সে ই জায়গায় আবার বালু দিয়ে ভরাট করছে। বালু দিয়ে ভরাটের সময় ড্রেজারের পানি আশপাশের কৃষি জমি তে গিয়ে জমিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরব র্তীতে তারা প্রভাব খাটিয়ে সেই জমিগুলোও তাদের কব্জায় নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছে।
তাদের এই বর্বরতার প্রতিবাদ করতে গেলেও শুরু হয় পৈশাচিক নির্যাতন ও নিপীড়ন। অনেকের বিরুদ্ধে আবার শালিশ বসিয়ে অর্থের জরিমানাও তারা আদায় করে থাকে। তাছাড়া বালু ফেলে কৃষকদের কাছ থেকে শতক প্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, কৃষিজমি ধ্বংস করে বালু দিয়ে ভরাটের কোন নিয়ম নেই এটা আইন পরিপন্থী। তাছাড়া কৃষকদের যে লোভ দেখিয়ে কৃষি জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে এতে তারা প্রতারিত হবেন। এই বালুগুলো এক সময় টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান,বালু ভরাটের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোন ধরনে র কৃষি জমিতে বালু ফেলে কৃষি জমি ধ্বংস করা যাবে না।এবং পানির প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না,এতে দীর্ঘমেয়া দী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে।