নিজস্ব প্রতিবেদন
শিক্ষকদের বলা হয় ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ তাদের হাত ধরেই আজ কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়র, কেউ বিজ্ঞানী আবার কেউ তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজে শিক্ষকতা করছেন। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে শিক্ষক জীবনের ২৭ টি বছর কেটে গেছে লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যা লয়ে। প্রতিষ্ঠানটির ক্রান্তিলগ্নে থেকে শুরু করে আজ অবদী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে সংগ্রাম করেছেন। বলছিলাম সদ্যবিদায়ী শিক্ষক মো.নিজাম উদ্দীনের কথা।সোমবার (৮ মে) কুষ্টিয়ার লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় তার সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
স্কুলের প্রতিটি কক্ষে ( রুম) গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বেশ কিছুসময় ধরে নানান বিষয়ে পরামর্শ দেন নিজাম উদ্দিন। তাদের প্রিয় শিক্ষক স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন,এই বিষয়টা যেন কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না শিক্ষার্থীরা। আবেগের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল গোটা রুম। কান্নার রোল উঠতে শুরু করে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সেই দৃশ্যই হৃদয় জিতে নিয়েছে।তার সাথে তার সহকর্মী শিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন সেসময়ে।
রুম থেকে বের হয়ে বাইরে পা রাখতেই বাকি সহকর্মীরা ভালবাসার আলিঙ্গনে ভরিয়ে দিলেন ওই শিক্ষককে।আবে গ ধরে রাখতে না পেরে সহকর্মীদের অনেকের চোঁখে পানি ও এসে পড়ে।লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান মজনু,
সদ্য বিদায়ী শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘একজন শিক্ষ কের জন্য পরম পাওয়া একজন ছাত্রকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আমি সন্তানের মতো দেখেছি। বিদ্যালয়ের এ ক্ষণে আমি অভিভূত আমার ছাত্ররা দেশের কল্যাণে নিবেদিত হয়েছে।’প্রাক্তন শিক্ষার্থী দের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন-এমনটা জানিয়েছেন স্কুল কতৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাজ্জাদুল আলম (মুক্তি),আরিফুল ইসলাম,মো.নাসির উদ্দিন, হারুনর রশীদ,মিজানুর রহমান মিজান,দিপু ইসলাম,মাসুদ রানা, মোছাঃ পারভিন,জরিনা খাতুন,খালেদা খাতুন,রোমানা আক্তার প্রমুখ।