প্রথম বাংলা -শিল্পকে লক্ষ্য করে যখন শুল্ক সুবিধা দে য়া হয়,তখন একদল তৈরি হয় ওই সুবিধার অপব্যবহা রের জন্য। এতে যে শিল্পকে সুবিধা হয়, তারাই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এ নবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এদিন বাজেট আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ সিরামিকম্যানুফ্যাক চারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন,লেদারগুড স অ্যান্ড ফুটওয়্যার মানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ডএক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন,যেসব কেমিক্যা ল শুধু উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক থাকলে সেগুলো অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। তবে নিশ্চিত করতে হবে ওই কেমিক্যাল আবার অন্য জায়গায় ব্যবহৃত না হয়।
তিনি বলেন, খাওয়ার লবণ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট নিয়ে এরকম সমস্যার কথা শুনছি আমরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,দেশীয় উৎপাদিত পণ্যচা মড়া ও কৃষিজাত পণ্যে কিভাবে আরো ভ্যালু অ্যাড ক রা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।কারণে এখানে অনেক বেশি ভ্যালু অ্যাড করার সুযোগ রয়েছে এখানে ট্যাক্স ভ্যাট একটা সমস্যা আছে।
চামড়ার ক্ষেত্রে ট্যাক্স-ভ্যাটের চাইতে কমপ্লায়েন্স এর কারণে বাজার না পাওয়ায় বড় সমস্যা বলে মনে করে ন তিনি।
বাজেট আলোচনায় বারভিডার প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত ১০ থেকে ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের ওপর থেকেসম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, রিকন্ডিশনড গাড়ির সংজ্ঞা পুননির্ধারণ এবং অবচয় হার ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাং শ করার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট নীতির সদস্য, প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিবরা।