শুনেছি তুমি নাকি এর আগের চিঠিটা পেয়ে অনেক কান্না করেছিলে। আরে বোকা মেয়ে কাউকে খুন করে কান্না করে নাকি সেই দিনটার কথা মনে পরে তুমি আর আমি একসাথে বসে কথা বলছিলাম হটাৎ করে একটা কালো টি-সার্ট পরা ছেলে এসে আমার পিছন থেকে স্ব-জোরে
চাকুটা বসিয়ে দিলো কি যন্তনা তবে আমি অবাক হলাম তুমি আমার ওই অবস্থা দেখে হা করে তাকিয়ে রইলে কি করে?
পরে দেখলাম তুমিও আমা’য় ওই ছুরিটা দিয়ে বুকের উপর জোরে-জোরে আঘাত করছ, কিছুখন পর আমি দেখলাম হুবহু ঠিক আমার মতো একজন সুয়ে আছে আমার বাড়ির মেঝেতে, ঠিককরে দেখলাম ওটা আমিই।
কিন্তু তোমায় মন গড়া নাটকটা দেখে খুব অবাক হলাম,তুমি বলতে লাগলে “আমি কিছু যানিনা আমার আশিক’এর কিভাবে এমন হলো কে’ করলো এ সবনেশে কাজ আমার আশিককে চাই আমি কিছু যানিনা” তার পর কি কান্না,এত বড় একটা ঘটনাকে কিভাবে ধামাচাপা দিয়ে সক্ষম হলে? ঠিক তার ঘন্টা দু-এক পর,দেখলাম তোমার সেই, নতুন প্রেমিক আসলো আমাদের বাড়িতে তুমি তাড়াহুড়ো করে চলে গেলে তার সাথে।
আচ্ছা, সে’কি তোমায় আমার মতো ভালোবাসে?
কেন যানি নদীর পড়’টাকে খুব মনে পরে!
কি,আর করা’র যাই হোক তুমি ভালো থাকরেই ভালো বলেছিলাম না এক, দিন কেউ আসবেতোমায় অনেক, ভালোবাসবে কি’ তাই না?
আমার চিঠিটা লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে ‘
কারন এই কলমের কালি’তো আর যে”সে কালি নয়. এটা আমার রক্তের রঙ তোমার রক্তের গ্রুপ, নাকি এক..
ওই রক্ত দিয়েই লিখলাম এই, শেষ চিঠি খানা।
হয়তো আর চিঠি লেখা হবে না. কারণ দিন দিন ঝরে যাওয়া রক্ত বিন্দুগুলো কমে আসছে, শুকিয়ে যাচ্ছে শরীর কেন জানি আর রক্ত উৎপন্ন হচ্ছে না। তাহলে “আমি, কি সত্যি মারা গেলাম?