July 27, 2024, 7:43 am
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলছে গোমা সেতুর নির্মান কাজ

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক :-জেলার বরিশাল (দিনারের পুল) – লক্ষীপাশা -দুমকী জেলা মহাসড়কে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ও চরাদী ইউনিয়নের গোমা পয়েন্টে রাঙ্গামাটি নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে বাকেরগঞ্জের মানুষের স্বপ্নের গোমা সেতু। সেতু ও সড়ক বিভাগের অধীনে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান এম খান গ্রুপ সেতুর কাজ করছে। নির্মাণাধীন গোমা সেতুর নির্মান প্রকল্পে ২০১৭ সালে ৫৭ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়সাপেক্ষে ৩ বছর মেয়াদের প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছিল।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২০ সালের জুনে। এ সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ ৪৪ ভাগ সম্পন্ন হলেও তখন উচ্চতা নিয়ে আপত্তি তোলে বিআইডব্লিউটিএ। ফলে সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল। পরে আন্তমন্ত্রণালয়ের দফায় দফায় সভা এবং বিশেষজ্ঞ দলের পরিদর্শনের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় সেতুর সংশোধিত প্রকল্প গ্রহণ করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, প্রথম প্রকল্প অনুযায়ী মাঝবরাবর সেতুর উচ্চতা রাখা হয়েছিল সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় ৭ দশমিক ৮৬ মিটার। পিলার স্থাপন সম্পন্নের পর বিআইডব্লিউটিএ আপত্তি তুলে জানায়, এ উচ্চতায় রাঙ্গামাটি নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য উচ্চতার প্রয়োজন কমপক্ষে ১২ দশমিক ২ মিটার। সওজ থেকে দাবি করা হয়, উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চূড়ান্ত সম্মতিপত্র নিয়েই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্বের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি হয়।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত প্রকল্পে সেতুর নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নদীপথ সচল রাখার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র দাবি অনুযায়ী সেতুর মাঝবরাবর সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় ১২ দশমিক ৪ মিটার উচ্চতা রেখে নতুন নকশা করা হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

প্রকল্পে বলা হয়েছে, বরিশাল-লক্ষ্মীপাশা-দুমকি জেলা সড়কের ১৪ কিলোমিটারে রাঙ্গামাটি নদীর ওপর ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রশস্ত দুই লেনে সেতু নির্মিত হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ২৮৩ দশমিক ১৮৮ মিটার। সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় দেখানো হয়েছে ৯২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা

১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সওজের বরিশালের প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জনকন্ঠ সংবাদ মাধ্যম কে জানান, বিআইডব্লিউটিএর দাবি অনুযায়ী সংশোধিত প্রকল্পে সেতুর মাঝে উচ্চতা রাখা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ মিটার। এ জন্য নদীর মধ্যে দুটি পিলারের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং গার্ডার নির্মাণে কংক্রিটের বদলে স্টিলের পাত ব্যবহার করা হবে। সেতুর( ৩,৪) নং পিলারের গার্ডার নির্মাণে কাজের শিঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে। ইতিমধ্য সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।পুরোদমে এগিয়ে চলছে গোমা সেতুর কাজ।

স্থানিয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াত, বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে। সহজ হবে সড়কে যোগাযোগ। বাসচালক আব্দুল কুদ্দুস ও নাজিম উদ্দিন বলেন, যাত্রীসাধারণ ও চালকদের আর ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না। থাকবে না ফেরিতে ওঠার ঝুঁকিও। সেতুটি হয়ে গেলে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।

বরিশাল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, এ সেতু চালু হলে দক্ষিণ জনপদের শুধু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটবে না, উন্নয়ন হবে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থারও। বাড়বে কর্মসংস্থান। চালু হবে বাস সার্ভিস। দক্ষিণের জনপদ হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোন।

বাকেরগঞ্জ দুধল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান উজ্জল জানান, সেতুটি নির্মান শেষ হলে কয়েকটি উপজেলা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ জীবনমান উন্নত হবে। বর্তমান ফেরী পারাপাড় চালু আছে। অপেক্ষা শুধু নির্মান কাজ শেষ হবার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page