স্টাফ রিপোর্টার – নামেও অসীম কর্মকান্ডেও অসীম।অসীমের অসীম দূর্নীতি স্বজন প্রীতি সীমাহীন দূর্নীতি আর সহায় সম্পত্তি তে তিনি আজ আলাদিনের চেরাগের মতো জ্বলছে।দেশ থেকে দূর্নীতি লুটপাট বন্ধের যুদ্ধে নেমেছে সমন্বয়কসহ অন্যান্য ছাত্র সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সেই মূর্হূতে অসীম কুমার সাহা লুটেপুটে শেষ করছে রাষ্ট্রীয় সহায় সম্পদ।তার গর্হিত কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ পে লেও তার অবৈধ আয়ের ও ক্ষমতার জোড়ে সবকিছু ধামাচাপা পরে যাচ্ছে। অসীম কুমার সাহার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ-তিনি সাবেক ময়মনসিংহ পৌরসভা বর্তমানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে দীর্ঘদিন সরকারি চাকরির বিধিলঙ্ঘন করে বহাল তবিয়তে থেকে বিভিন্ন কায়দায় অনিয়ম দূর্নীতি মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি আজ প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে যে,ময়মনসিংহে যোগদানের আগে তিনি কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ছিলেন।সেখানেও তিনি লুটপাট করেন, তার অবৈধ লুটপাটের কারণে তৎকালীন পৌর মেয়র এর সাথে তার বিরোধ শুরু হয়।
সাবেক ময়মনসিংহ পৌরসভায় বদলি হয়ে আসেন বর্তমানে সি টি কর্পোরেশন এখানে এসেও দূর্নীতি,স্বজনপ্রৗতি আর লুটপাটে র মহারাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন তিনি।অভিযোগ রয়ে ছে- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতের তহবিলে বরাদ্দ অর্থ থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আজ পাহাড় সম অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। আর অবৈধ অর্থ দিয়ে অসীম কুমার গড়ে তুলেছেন অঢেল জমি বাড়িসহ সহায় সম্পদ।
বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্যে জানা যায় যে,তার নিজ জেলা মানি কগঞ্জে তার নামে রয়েছে ৫ একর জমি।তার শ্বশুর পিডিবির অবসর প্রাপ্ত তার নামেও জমি ক্রয় করে দেন সুতিয়াখালী এলাকায়। শ্বাশুরির নামে ক্রয় করে দেন ছত্রিশ শতাংশ ভুমি। সম্পদের মধ্যে রয়েছে শহরের প্রাণ কেন্দ্র বিএনএসআই চক্ষু হাসপাাল এলাকায় বহুতল ভবন উদয় টাওয়ারসহ নামে বেনামে আত্মীয় স্বজনদের নামে দুইটি ফ্ল্যাট। নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ব্যাংক ব্যালেন্স।
সামান্য একজন হিসাবক্ষন কর্মকর্তার বিপুল অর্থ সহায় সম্পদে র তালিকা দিন দিন বেড়েই চলছে।সিটি কর্পোরেশন সূত্রেজানা যায় যে-বগী চেক বাণিজ্যেও রয়েছে অসীমের অসীম দূর্নীতি, বিভিন্ন বিলের বিপরীত ও অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চেক বিভিন্ন সময় ব্যাংকে টাকা না থাকার কারণে ক্যাশ ড্র করতে না পারা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার স্বরন্নাপন্ন হলে তিনি অলিখিতভাবে ১০% ক্ষেত্র বিশেষ ২০% কমিশন আদায় করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে,চেকের বিপরীতে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
অনেকেই তাকে বলে থাকেন মিস্টার কমিশন বাবু এতে করে তিনি বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আরো জানা যায় আব্দুস সালাম বাবু প্রহরী হিসাবে চাকরীতে যোগদান করলেও তিনি কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করছেন, কিন্তু শুধু অসীম কুমার সাহার চেক দিয়ে টাকা তোলার কাজ করেন তিনি। শুধু ব্যাংকে- ব্যাংকে বগি চেক নিয়ে কাজ করতেই চলে যায় তার দিন।
স্থানীয় এলাকার এডভোকেট বলেন,অসীম কুমার সাহা ময়মন সিংহের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা অনুমোদনে র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিজের নামে না করে আত্মীয় স্বজনের নামে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দূর্গাবা ড়ি রোডে সাড়ে সাত শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয় হবে ১৩ তলা বিল্ডিং এর কাজ অঞ্জলি টাওয়ার নির্মাণাধীন।
দুই বছর ধরে কাজ ফেলে রেখেছেন এবং মালিক পক্ষকে বাড়ি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে শেহড়া মোড়ের সংলগ্নে উদয় টাওয়ারের কাজ করেছেন, কিছু ফ্ল্যাট বিক্রয় করেছেন তিনি।ঢাকায় রয়েছে অনেক জায়গায় ফ্ল্যাট ও প্লট।
ভুক্তভোগী ও এলাকার স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ মসিকের হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা অসীম কুমার সাহার গর্হিত কর্মকান্ড সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার অবৈধ সহায় সম্পদের উৎস বের করে তাকে দেশের প্রচলিত আইনের কাছে সোর্পদ করে দেশের ও জনগণের সম্পদ রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন।
মসিকের কতিপয় কর্মকর্তা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদ গড়ে তোলেন।
তাদের মধ্যে হলেন নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, বর্জ্য কর্মকর্তা মহব্বত আলী, পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, আজাহার।