প্রথম বাংলা – হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ও তার পরিবারের নামে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করা হয়েছে।
সম্প্রতি মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ অর্থ ফ্রিজ করে দুদক।
রোববার গণমাধ্যম কে এ তথ্য নিশ্চিত করে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র।
আদালতের আদেশ সূত্রে জানা যায়, ফ্রিজ করা টাকার মধ্যে আশরাফুল আলমের নামে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের বগুড়া কার্যালয়ে ৭০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়। এছাড়া একই অফিসে ছেলে যারিন তাসনীমের নামে আরও ৩ লাখ এবং স্ত্রী সাবিনা আলমের নামে ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিন নামে কেনা ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করে দুদক।
আবেদনে দুদক জানায়, আসামি আশরাফুল অবৈধ পন্থায় অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সম্পত্তি হস্তান্তর হলে আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে
দুদকের এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই অর্থ জব্দের আদেশ দেন আদালত।
স্ত্রীসহ তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২১ জুন প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছিল দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বগুড়ার সোনাতলার প্রায় ২৫০ শতাংশ জমি, আইএফআইসি ব্যাংকের লালমাটিয়া, গুলশান ও বনানী শাখায় সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
প্রথম মামলায় মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিনা আলমকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় স্ত্রীকে প্রধান আসামি করে আশরাফুল আলমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি সাবিনা আলম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫ টাকার সম্পদ তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
দ্বিতীয় মামলায় মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৩ টাকার সম্পদ গোপন ও ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
ছবি, সংগৃহীত