আবদুল মামুন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউ নিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ মহানগর মীর নুরুল ইসলাম আর্দশ দাখিল মাদ্রাসার এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার ক রেছে পুলিশ।সোমবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে অবস্থিত মহানগর অলি ফয়ে জ ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের এতিমখানার দ্বিতীয় তলার ছাত্রবাস থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গামছা পেঁচিয়ে ঝুঁলন্ত অবস্থায় আতিক হোসেন (১৭ ) নামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ী মিরসরাই উপজেলার উত্তর ওয়াহেদপুর মোল্লাগ্রাম এলাকার মৃত অলি উলাহর পুত্র।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, আতিক হোসেন ২০২৩ সা লের এস এস এসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সে শুধু একমাত্র এতিমখানার ছাত্রবাসে থাকেন। সামনে তাদের ফাইনাল পরীক্ষা তাই তাদের বিশেষ কোচিং চলতেছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোচিং শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলে,তবে মাদ্রাসার দুই জন শিক্ষক ছুটিতে থাকার কারণে আজকে কোচিং হয় নি এবং হাজিরাও ডাকা হয়নি তাই ১০ টারদিকে যারা এস এস সি পরীক্ষার্থী তাদের কে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কারণ মাদ্রাসার আরও বাকি ১০টি ক্লাস রয়েছে আর শিক্ষক ছিল কম যার ফলে পরীক্ষার্থী দেরকে কোচিং করানো সম্ভব হয়নি আজকে। ছুটি দেওয়ার পর আতিক হোসেন ও তার দুই জন বন্ধু মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে আসে।
পথিমধ্যে আতিক হোসেন তার দুই বন্ধুকে বলে খালু র বাড়ীতে যাবে তারা যেন বাড়ীতে যাওয়ার সময় তাকে এতিমখানার ছাত্রবাস থেকে ডেকে নিয়ে যায়, দোকানে তার দুইজন বন্ধু রয়ে যায়। আতিক হোসে ন এতিমখানার ছাত্রবাসে চলে যায়,১১ টার দিকে তার দুই বন্ধু দোকান থেকে এতিমখানার ছাত্রবাসে আতিক হোসেক কে খালুর বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ডেকে আনতে গেলে তার দুই বন্ধু দেখতে পাই সিলিং ফ্যানের সাথে আতিক হোসেন গলায় গামছা পেচিয়ে ঝুঁলিয়ে রয়েছে। তারা দুইজন সাথে সাথে ছাত্রবাসের বাহিরে অবস্থিত দোকানদার আতিক হোসেন এর খালুকে বিষয়টি জানায়,আতিক হোসে ন এর খালু বিষয়টি জানতে পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করে,মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ইউপি সদ স্য কে জানালে তিনি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে পুলিশ কে খবর দেয়।
এ বিষয়ে জানতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ কে মুঠোফোন কল করেও পাওয়া যায়নি। পরর্বতীতে ওসি কে না পেয়ে ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ কে মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসির্ভ না করে এই প্রতিবেদক কে একটি এস এমএস লিখে পাঠিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে অবস্থান কর ছেন বলে জানান তিনি।