ইকরামুল হক, কক্সবাজার:
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আ শরাফুজ্জামান সিদ্দিকী,ওএসপি,বিএসপি,এসইউপি, এনডিসি,পিএসসি,এমফিল বলেছেন,সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে। বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদি কদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।পরে বুধবার দুপুরে ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মায়ানমার ফ্রেন্ডশীপ ব্রীজে বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক জানান,অদ্য ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০ ২৪ তারিখ সকালে বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বি ওপি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবিমহাপরি চালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদ স্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকা বিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বরত সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
পরবর্তীতে বিজিবি মহাপরিচালক মায়ানমারেররাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তপে রিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মায়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি),মায়ানমারসে নাবাহিনী,ইমিগ্রেশন সদস্য,পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় আগত ও হাসপাতালে চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের সরেজমিনে দেখতে যান।
পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজিবি ম হা পরিচালক বলেন,সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি ’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দে শনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্ত র্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতেদেও য়া হবে না। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে বিজি বি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,কক্সবাজার রি জিয়ন কমান্ডার,রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মক র্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষেরজেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মায়ানমার সেনাবাহিনী,পুলিশ,ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে সম্পূর্ণ নির স্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম,পিবিজিএ মএসউল্লেখ্য, সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩২৭জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।