স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ ও বর্তমান মেম্বার আবুল কালাম এর বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার করে মানহানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আবুল কালাম এর ছেলে ইমাম উদ্দিন বাবর।
১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ঘটিকায় স্থানীয় কেরানী বাজারস্থ মেম্বার আবুল কালামের ব্যাক্তিগত অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অত্র ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম অসুস্থ থাকায় তার ছেলে ইমাম উদ্দিন বাবর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম চলমান, গত ৪ অক্টোবর চরক্লার্ক ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের নতুন ভোটারদের ছবি তোলার সময় প্রায় দুই শতাধিক চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট,
চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল বাসার ও আমার বাবা আবুল কালাম মেম্বারের সীল, স্বাক্ষর জাল ধরা পড়ে, জালিয়াতির বিষয়ে ভোটারদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এগুলো সাবেক মেম্বার সাহাব উদ্দিন টাকার বিনিময়ে তাদেরকে দিয়েছেন, জালিয়াতির বিষয়টি চেয়ারম্যান আবুল বাসারকে জানালে তিনি সাহাব উদ্দিনকে ডেকে সতর্ক করেন, একারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও আমার বাবার নামে ফেইসবুকে ভূয়া পেইজ থেকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে, কাল্পনিক তথ্য দিয়ে একাধিক সাধারণ মানুষকে দিয়ে জোর পূর্বক ভিডিও বক্তব্য নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, এঘটনায় আমার বাবার এবং আমার মানহানী হয়েছে, আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাই।
নিজের দোষ ডাকতে পশ্চিম উরিরচর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন ওই ওয়ার্ডের আসমা বেগম (৩২), মৃত তোফাজ্জল হক মাঝির ছেলে সাদ্দাম (৩৫), আব্দুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে জোর পূর্বক আবুল কালাম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভিডিও বক্তব্য নেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসমা, সাদ্দামও আনোয়ার বলেন, আবুল কালাম মেম্বার আমাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেননি, সাহাব উদ্দিন জোরপূর্বক আমাদেরকে দিয়ে এসব কথা বলতে বাধ্য করছে এবং সেটি ফেসবুকে প্রচার করে যার কিছুই আমরা জানিনা।
সংবাদ সম্মেলনে আশি বছর বয়সী বৃদ্ধ কবির আহমেদ বলেন, সাবেক মেম্বার সাহাব উদ্দিন ভোটার ফরমের জন্য আমার কাছ থেকে ৭শত টাকা নেয়, আমাকে ফরমও দেয়নি,আমার টাকাও ফেরত দেয়নি, আমি সাহাব উদ্দিনের বিচার চাই।
এসময় ইমাম উদ্দিন বাবর আরো বলেন, জাল জালিয়াতির প্রমাণসহ সাবেক মেম্বার সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।
মুঠোফোনে এসব অনিয়েমের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।