নিজস্ব প্রতিনিধি – কুমিল্লা ব্যবসায়ী ভিকটিম মোঃ মনির হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত আলাউদ্দিন, মাতা- রেহানা বেগম, সাং-সিন্দি (ঢালী বাড়ি), দাউদকান্দি পৌরসভা, ৯ নং ওয়ার্ড, থানা-দাউদকান্দি, কুমিল্লা বর্তমানে- তূজার ভাঙ্গা, দাউদকান্দি সবজি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিমসার বাজারে রওনা করে।
পরদিন অর্থাৎ ১১/০৯/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে জরুরী সেবা ৯৯৯ হতে ০৬.৩০ ঘটিকায় সংবাদ পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ বুড়িচং থানাধীন ৭ নং মোকাম ইউনিয়নের পরিহল পাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার ১০০ গজ পূর্বদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকা গামী মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠান। প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের মাথায়, মুখে ও নাকে অনেকগুলো রক্তাক্ত গভীর কাটা জখম দেখা যায়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম মনির হোসেনের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় এজাহার দায়ের করলে বুড়িচং থানার মামলা নাম্বার-১২, তারিখ- ১১-০৯-২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত ঘটনার পরপরই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা কুমিল্লা। তদন্ত কালে দেখা যায়, ভিকটিম মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা এর সহিত ড্রাইভার নুর আলম মিয়া (২৪) পিতা-ফজলুর রহমান, মাতা- শান্তি বেগম, সাং-তূজার ভাঙ্গা, দাউদকান্দি,কুমিল্লা এর সাথে গত দেড় বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল।
এটা নিয়ে ভিকটিমের সাথে স্ত্রী নাজমার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে ভিকটিমের স্ত্রী নাজমা স্বামীর বাসা থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে তার বোন বিউটির বাসায় চলে যায়। সেখানে ঘাতক নুর আলম এর সাথে নাজমার সম্পর্ক আরো গভীর হয়।
পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে কথা বলে নাজমা পুনরায় বাচ্চাদের নিয়ে তার স্বামীর বাসায় ফিরে আসে। তখন ঘাতক নুর আলম ভিকটিমের স্ত্রী নাজমাকে তার কাছে চলে আসতে বলে। নাজমা স্বামীর ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না জানালে ঘাতক নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৪/১০/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ঘাতক নুর আলমকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে উক্ত রহস্য উদঘাটন হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি নুর আলমকে বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ জাহিদুল হক অদ্য ০৫/১০/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন এবং রিমান্ডের আবেদন করেন।