প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহে গতকাল (০১ মার্চ ২০২৩ )তারিখ বুধবার সকাল আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং দাপুনিয়া ইউনিয়নস্থ গোষ্টা পশ্চিমপাড়া সাকিনে নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধান ক্ষেতের পাশে অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পড়িয়া থাকার সং বাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার পূর্বক নাম-ঠিকানা সনাক্ত করে।সনাক্ত কালে তাহার নাম- মৃত মৌসুমী আক্তার (২৫),পিতা-মোঃ আমান উল্লাহ,মাতা-মোছাঃ হামিদা,খাতুন,সাং-চরকালীবাজাইল,থানা-ফুলবাড়ীয়া,জেলা-ময়মন সিংহ বলিয়া জানা যায়। উক্ত ঘটনায় মৃতের বড় বোন মোছাঃ আয়েশা আক্তার ওরফে শাহনাজ (৪০) ,স্বামী-মোঃআব্দুল হান্নান,পিতা-মোঃআমান উল্লাহ, মাতা-মোছাঃ হামিদা খাতুন,সাং-চরকালী বাজাইল, থানা-ফুলবাড়ীয়া,জেলা-ময়মনসিংহ বাদী হয়ে এজা হার দায়ের করিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আই ন ২০০০ (সং/০৩) এর ১১(ক)/৩০ ধারায় হত্যা মাম লা রুজু করা হয়।
মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে যে,মাম লার আসামী সুজন হাসান (২৭),পিতা- এছাহাক আলী,সাং- সৈয়দগ্রাম (পূর্বপাড়া),থানা- মুক্তাগাছা ,জেলা- ময়মনসিংহ,বর্তমানে পুলিশ কনস্টেবল পদে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সেকর্মরত আছে। ২০১ ৮ সালে উক্ত আসামী সুজন ভিকটিম মৌসুমী আক্তা র’কে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হইতেই যৌতুক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাহাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল।এতে করে আসামীর স্ত্রী ২০১৯ সালে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনেমামলা করেন। উক্ত মামলায় আসামী দুই মাস হাজত বাস করেন পরব র্তীতে তাদের মধ্যে মীমাংসা হলে বাদী মামলা তুলে নেয়। এরপর আবার যৌতুকের বিষয় নিয়া পুনরায় তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং২৮/০২/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ৭টা ৩০ঘটিকার সময় আসামী তাহার শ্বশু রবাড়িতে যায়। উক্ত আসামী কৌশলে মৃত মৌসুমী কে কোতোয়ালী থানাধীন ১০নং দাপুনিয়া ইউনিয় নস্থ গোষ্টা পশ্চিমপাড়া সাকিনে নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধানক্ষেতের পাশে একই তারিখ রাত অনুমান ২০:৩০ ঘটিকার সময় আসামী তাহার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে তার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখিয়া চলিয়া যায়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতা র করাকালে তাহার নিকট হইতে রক্তমাক্ত জ্যাকেট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
ওসি শাহ-কামাল আকন্দের দিক-নির্দেশনায় ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন ও ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলী সহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগের নেতৃত্বে,কনস্টেবল মিজানুর রহমান,কনস্টেবল জোবায়েদ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী সুজন হাসান (২৭),পিতা- এছাহাক আলী,সাং- সৈয় দগ্রাম (পূর্বপাড়া),থানা- মুক্তাগাছা,জেলা- ময়মন সিংহ,বর্তমান ঠিকানা- পুলিশ কনস্টেবল,পুলিশ লাইন্স,নারায়ণগঞ্জ’কে আজ ০২/০৩/২০২৩ তারিখ রাত ০৪.০০ ঘটিকার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা, (ডিবি),নারায়নগঞ্জ হইতে গ্রেফতার করেন।