সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবি: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সংবাদ পত্রিকা: সিনিয়র রিপোর্টার।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে রাত ১২টায় স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান গৃহবধূ রেজিয়া বেগম।
রেজিয়া বেগম (৫২) কুড়িগ্রাম সদর মোঘলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙ্গা মৌজার মৃতু ইয়াকুব আলীর মেয়ে,
উলিপুর উপজেলার ইউনিয়ন দুর্গাপুরে মাসান কুড়ারপাড় গ্রামের নুরজামালের স্ত্রী।
জানা যায় রেজিয়া বেগমের পুর্ব স্বামীর সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নুরজামালের সাথে গত দেড় বছর আগে বিবাহ হয়।
নুরজামালের সংসারে আসাবধি এখনও তার কোন সন্তানাদি হয় নাই।
তবে পুর্ব স্বামীর ২টি ছেলে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নুরজামালের পুর্ব স্ত্রীর দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
তবে বাড়িভিটা পুর্ব স্ত্রীর নামে দলিল করে দিয়েছেন -নুরজামাল।
এ হত্যা কার্ডের পর থেকে পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে বিভিন্ন সময় গৃহবধু রেজিয়া বেগমকে মারধর করতেন স্বামী নুরজামাল।
মঙ্গবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে স্বামী নুরজামাল।
রাত ১২টার পর ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার খন্দকার মোঃ আনিসুর রহমান কে জানায় তার স্ত্রী মারা গিয়েছে।
স্থানীয়রা এসে পুর্ব দুয়ারি ঘরের বাহিরে উত্তরে এবরো থেবরো অবস্থায় দেখতে পায় গৃহবধুকে।
স্পর্শ করে দেখেন তার হাত পা শক্ত হয়ে গেছে চোখ দুটো সাদা হয়ে গেছে মুখের চোয়াল বসে গেছে সে নড়াচড়া করেনা এমন অবস্থা দেখে স্থানীয়রা তার বাবার বাড়িতে আপনজনদের খবর দেন।
তার আত্মীয় স্বজন এসে গৃহবধুকে ঘরের বাহিরে নোংড়া মাটিতে পরে থাকা অবস্থায় দেখে
ওই পরিবারের কাউকে বাড়িতে না পেয়ে পার্শবর্তী লোকজনকে জানান।
পরে তারা স্থানীয়রা সহ পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশটিম এসে স্থানীয় অভিযোগের ভিত্তিতে রেজিয়া বেগমের মরা লাশ প্রাথমিকভাবে কিছু
তথ্য জানার জন্য নারী পুলিশ দিয়ে সমস্ত শরীর
যাচাই করেন।
পরে রেজিয়া বেগমের মৃত্যু লাশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
এখানে এসআই আতিকুর রহমান,
পুলিশটিম সহ উলিপুর থানা ইনর্চাজ কর্মকর্তা (ওসি) ও উধ্বর্তন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।