July 27, 2024, 7:43 am
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলাই কাল হলো শিশু শ্যালিকার

Reporter Name

 

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় শিশু শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শিশু হাফছা আক্তার খুশি (৯) হত্যাকারীর সম্পর্কে চাচাতো শ্যালিকা। হত্যাকারী ভগিনীপতি আব্দুল গণিকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ আন্ত:নগর পশ্চিম মণ্ডলের কুটি গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

পুলিশ,মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকতে হয় খুশির বাবা রামখানা ইউনিয়নের আক্ষরনগর পোলাদীরপাড় গ্রামের প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক বাবু মিয়াকে (২৭)। গত ৩ মাস আগে স্ত্রী কাজলী আক্তার রাগ করে চলে গেছে বাবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।

তাই বড় মেয়ে হাফছা আক্তার খুশি (৯), মেজো মেয়ে আরাফিয়া আক্তার (৩) ও ছোট মেয়ে রাফিয়া আক্তারকে (২) রেখে গেছেন ছোট বোন শাহিদা বেগমের বাড়িতে। সেখানেই তারা থাকে। ফাঁকা পড়ে থাকে নিজ বাড়ি।

গত ৪ সেপ্টেম্বর আব্দুল গণির সঙ্গে বাবু মিয়ার (খুশির বাবা) বড়ভাই মৃত তছের আলীর মেয়ে আঙ্গুয়ারা বেগমের (২০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরের সংকট থাকায় তারা বাবু মিয়ার ফাঁকা বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। সেখানে একদিন বাবু মিয়ার বড় মেয়ে ৯ বছরের শিশু হাফজা আক্তার তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলে। সম্পর্কে শ্যালিকা হওয়ায় সে ইয়ার্কি করে দুলাভাই গণির লুঙ্গি ধরে টান দেয়। এতে ক্ষেপে যায় আব্দুল গণি।

এ ঘটনায় রোববার ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুটিকে একা পেয়ে সে ঘরে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে আত্মহত্যা নাটক সাজায়। শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে ঝুলিয়ে দেয় ঘরের ধন্নার সঙ্গে। তালাবন্ধ করে রাখে ঘরটি। যাতে কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে এজন্য সে আশপাশে হাঁটাচলা করছিল।

এদিকে পাশের বাড়ির জনৈক ব্যক্তি কোনো বিশেষ প্রয়োজনে বাড়িতে এসে কাউকে না দেখে ডাকতে থাকে। এ সময় উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখতে পায় ঘরটি তালাবন্ধ। তবে ঘরের ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে দেখা যায় কিছু একটা ঝুলছিল ধন্নার সঙ্গে।

এগিয়ে গিয়ে ভাঙ্গা বেড়ার উপর দিয়ে তিনি দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে হতভাগা শিশু হাফছা আক্তার। পরে তার চিৎকার চেঁচামেচিতে লোকজন ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে মৃত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে রোববার রাতে থানায় আব্দুল গণির বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন নিহত শিশুটির বাবা বাবু মিয়া। সোমবার সকালে আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে সে।

নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান জানান, গ্রেফতার আব্দুল গণিকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page