নিজস্ব প্রতিবেদন – নীলফামারীর সৈয়দপুরে হাঁসের মাংস পরিবেশন নিয়ে হোটেল ও পিকআপ শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর পৌর শহরের সব হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়।
২৫ আগস্ট রাতে শহরের তাজির উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেলে এ ঘটনা করে। পরে রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শহরের খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে।শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত ৯টায় প্রশাসন, হোটেল মালিক ও পিকআপ শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সৈযদপুর হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সখে ন ঘোষ জানান,উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানে শনিবার রাত ৯টায় উপজেলা সভা কক্ষে বৈঠক হয়। বৈঠকে ২৫ আগস্টের হামলার ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে,ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতি দেন হামলাকারীদের পক্ষে পিকআপ শ্রমিক নেতারা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় হোটেল মালিক সমিতির নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম, সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বখতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সখেন ঘোষ ও পিকআপ শ্রমিক নেতা মমতাজ আলী প্রমুখ।
২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টায় তাজির হোটেলে হাঁসেরমাংস বদলে বয়লার মাংস পরিবেশন করা নিয়ে হোটেল কর্মচারী র সঙ্গে পিকআপ শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ২০ থেকে ২৫ জন পিকআপ শ্রমিক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হোটেলে হামলা চালায়।
এ সময় হোটেলের কর্মচারীকে মারপিট করে হোটেলের মালামাল তছনছ করে এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা। এদিন গভীর রাতে হোটেল মালিকরা জরুরি সভা করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় হোটেল মালিক সমিতির নেতারা। ফলে গত শনিবার শহরের সব খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়।