July 26, 2024, 11:55 pm
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষা মাল আসেনি, বিল ২৪ কোটি

Reporter Name

স্টাফ রিপোর্টার =

উপকরণ পাওয়ার আগেই দুই ঠিকাদারকে পৌনে ২৪ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) এই লঙ্ঘন হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তি শালীকরণ প্রকল্পে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপকরণ ক্রয়কারী কর্ম কর্তা অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) বিরুদ্ধে শাস্তিমূল ক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ দুই দফা সুপারিশ করেছে।

এর আগে আরেকটি তদন্ত কমিটি এই প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্র জানায়,বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তিশা লীকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫২ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Goo gle News ফিডটি অনুসরণ করুন একটি প্রতিষ্ঠান প্রক ল্পটির দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ করলে গত বছরের ২৩ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে স্থা নীয় সরকার বিভাগ।স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমি টির যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিমকে সদস্যসচিব এবং সদস্য হলেন।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম তালুকদার। কমিটি গত ১১ এপ্রিল দুই দফা সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠা নই প্রথম চলমান বিল পাওয়ার পর সমপরিমাণ টাকার উপ করণ বিভিন্ন সময়ে (২০২২ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) সরবরাহ করেছে। বিল,ইনভয়েস,সরবরাহ চালান ও উপকরণ বুঝে পাওয়ার কাগজ থেকে প্রমাণিত হয়, উপকরণ সরবরাহ ছাড়াই কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডিকে ১৩ কোটি টাকা।এবং মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডকে ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রথম বিল দেওয়া হয়েছে; যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত এ ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

জানতে চাইলে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান এ এইচ এম কাম রুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন,তদন্তে উপকরণ দেওয়ার আগেই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের সত্যতা পেয়ে।সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে এখন প্রশাসনিক অন্যান্য কাজ শেষে ব্যবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

এ বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগে র যুগ্ম সচিব মো. ফজলে আজিমের মন্তব্য জানতে গিয়ে তাঁর কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে র সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমকেও দপ্তরে পাওয়া যায়নি মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান,গত বছরের ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের করা আরেকটি তদন্ত কমিটি।প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে এরপর ৪ আগস্ট স্থানীয় সরকার সচিবের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে। ওই অনিয়মের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করা হয়।

কমিটির তিন সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.খাইরুল ইসলাম,যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন এবং পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ড. বেলাল উদ্দিন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই প্রকল্পের পণ্য প্যাকেজ ৫ ও ৬-কে ভেঙে চারটি প্যাকেজ করা হয়েছে; যা গুরুতর অনিয়ম। দরপত্র দুটি মূল্যায়নে বিধি অনুযায়ী দরপত্র উন্মুক্ত কমিটি এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিও গঠন করা হয়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মুন্সি মো. হাচানুজ্জামানকে ফোন করা হলেও ধরেননি। পরে কথা বলার আগ্রহ জানিয়ে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page