February 16, 2025, 2:13 am
শিরোনামঃ
আবুল হাসেম রতনের মানহানি করার চেষ্টা তালাকের পর যৌতুকসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল খানের সন্ধান মিলছে না শাহজাদপুরের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রীকে কারাগারে চন্দ্রগঞ্জ থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি বাড়ির লুটপাট”ভবন ধ্বংস করেছে সন্ত্রাসীরা আমিরাতে ডিপ্লোম্যাট কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশ কনস‍্যুলেট জেনারেল দুবাই রানার আপ হয়েছে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির বাড়িতে আগুন ভবন সহ 70-80 লক্ষ টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছে সন্ত্রাসীরা সমাজবিরোধীরা কোনো ব্যক্তিকে হুমকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পিরোজপুরে এলজিইডি”র ৩ প্রকৌশলীসহ পাঁচজন বরখাস্ত
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা না ফিরলে দেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না : তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name

প্রথম বাংলা – তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশে না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। আজ ৭ মে তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন এবং প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।’

রোববার ৭ মে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক ৭ খন্ড বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক,সাবেক সচিব মো: শহীদ উল্লাহ খন্দকার,বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আজ ৭ মে একটি ঐতিহা সিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে,গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূ র্ণ,গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছি লো, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে, আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম। বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি,বিমানবন্দর থেকে তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দু’ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে আসলো শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যা ও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচন্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য্য হারান না,যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি। বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি। বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন- তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো,মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচন্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষের ৫ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিলো কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা ছিলো।

তিতুমীর,সূর্যসেন,নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে,কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে,পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে,জয় বাংলা শ্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল এ জন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’

তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যাল ভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।’সেই সাথে ড. হাছান বলেন,এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন জন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতি যোগিতাও তৈরি হয়েছে এবং সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট মানদন্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
তথ্য মন্ত্রী ( ফাইল ছবি)



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST