নিজস্ব প্রতিবেদক”
দিল্লিতে বাংলাদেশ–ভারত নিরাপত্তা বৈঠক; পাকিস্তানের সামরিক উপস্থিতিতে আঞ্চলিক সমীকরণে তীব্র উত্তাপ!
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনাকে ঘিরে—ভারতের সঙ্গে ঢাকার উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক, সীমান্ত ও জঙ্গিবাদ নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ, এবং একই সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন সামরিক যোগাযোগ।
কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে অংশ নিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ১৮ নভেম্বর দিল্লি পৌঁছান। কনক্লেভ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ নভেম্বর হলেও, তিনি ১৯ নভেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
সেখানে ভারত স্পষ্ট জানায় সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আগাম মুক্তি,উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে চরমপন্থীদের আস্তানা,এবং বাংলাদেশে মৌলবাদী কার্যকলাপের উত্থান নিয়ে তাদের কঠিন নিরাপত্তা উদ্বেগ রয়েছে।
এর আগে ১৪–১৭ অক্টোবর ভারতীয় মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের একটি উচ্চপর্যায়ের দল বাংলাদেশ সফর করে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশপথে পরিদর্শন এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ঢাকায় একটি ডজিয়ার হস্তান্তর করে, যেখানে ভারতের নিরাপত্তাশঙ্কা ও সন্দেহভাজন বাংলাদেশি চরমপন্থীদের নাম তালিকাভুক্ত ছিল।
এদিকে, এই সময়েই পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সামরিক যোগাযোগও নজর কাড়ছে। ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাঁচ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সাবেক আইএসআই শীর্ষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাকির উল্লাহ খট্টক।
বিশ্লেষকদের মতে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক সংকটে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই ত্রিমুখী নিরাপত্তা উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিকে নতুন ও সংবেদনশীল মোড়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মহাবিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ! মাত্র ২ সপ্তাহ দেখুন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়!