লাভলী আক্তার”নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে সোমবা র (৬ মে) বিকেল ৪টর দিকে এক ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।কেন্দুয়া বাজারের দীর্ঘ দিনের পার্টস ব্যবসায়ী বিজন কুমার এস এর স্ত্রী সুইটি রাণী এস, স্কুল পড়ুয়া ছেলে ও মেয়ে সাংবাদিক সম্মে লনে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিজন কুমার এস এর স্ত্রী সুইটি রাণী এস বলেন,আমার স্বামী কেন্দুয়া বাজারের চিরাং মোড়ের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী বিজন কুমার এস গড়াডো বা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাবরেট রী স্কুলের পরিচালক হারুন মাষ্টারের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। মূলত হারুন মাষ্টার একজন পেশাদা র সুদখোর।একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে সুদেরব্যবসা করেন? যিনি রক্ষক তিনিই আবার বক্ষক।
আমার স্বামী বিজন কুমার এসের সাথেও হারুন মাষ্টা রের সুদের লেনদেন রয়েছে তবে, আমি বিষয়টা আগে জানতাম না এখন শুনেছি।হারুন মাষ্টারের সুদের টাকা পরিশোধ করে আমরা এখন নিঃস্ব। আমার স্বামীও মৃত্যুশয্যায় বিছানায়। সুদের টাকার জন্য হারুন মাষ্টার গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেবজীতকুমা র এস (১৪) কে আমাদের দোকানে এসে টাকার জন্য আক্রমণ করে মারধোর করা শুরু করলে আশে পাশে র দোকানের ব্যবসায়ীগণ দৌড়ে এসে উদ্ধার করেন।
যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে হারুন মাষ্টার যাবা র সময় হুমকি দিয়ে যায় পরবর্তীতে আমাদের দেখেনে বে। ঘটনাটি কেন্দুয়া বাজার কমিটি ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এনামুল হক ভূঞা’কে অবহিত করলে তিনি হারুন মাষ্টারকে ভবিষ্যতে দোকানে এসে এইরকম বেআইনি কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন। তাৎক্ষণিক হারুন মাষ্টারও আমাদের বাসায় গিয়ে হুমকি ও গালমন্দ করে।
এছাড়াও গত ৩০ এপ্রিল আমার মেয়ে পূজা রাণী এস (১১) বিদ্যালয়ে গেলে (কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকা রি উচ্চ বিদ্যালয়) হারুন মাষ্টারের মেয়ে একই স্কুলের শিক্ষার্থী আমার মেয়েকে স্কুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগা লাজ করে দু’তলা সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাইলে আমার মেয়ে দৌড়াইয়া কৌশলে প্রাণ বাঁচায়। আমার মেয়ে ভয়ে আতংকিত হয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এসে অসুস্থতাবোধ করিলে আদমপুর হাসপাতা লে ভর্তি করি।হারুন মাষ্টারের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমরা প্রাণের ভয়ে আছি, কখন যে কি হয় আমাদের জানিনা।
কেন্দুয়া বাজার কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হক মুঠোফোন জানান, পাওনা টাকার জন্য বিজন কুমার এসের ছেলেকে তাদের দোকানে হারুন মাষ্টার আক্র মণ করার বিষয়টি আমিও শুনেছি।