মোঃ তপু শেখ,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ঝিকু মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. র বিউল মোল্লার নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ শেখ ছায়েরাখাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচাল ক ড. নিয়াজ মোহাম্মাদ এর সেচ্চাতারিতা এবং মেডি কেল কলেজে অ্যাম্বুলেন্সে পার্কিং এর দাবিতে মানব বন্ধন ও পার্কিং সমস্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনিদৃষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির মালিক ও শ্রমিকেরা। গতকাল ২৩/১২/২০২৩ইং দুপুর ১টার সময় এ ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।ওপরদিকে হা সপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দ্বারা রোগিদের চাহি দা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।গোপালগঞ্জ সদর জালা লাবাদ ইউনিয়ন থেকে আগত এক আইসিইউ এর রো গীর ভুক্তভোগী অভিভাবক বলেন,আমার রোগীকে খুলনায় দ্রুত প্রেরণ করা হলে,কোন অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে আমি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এর নিকট যাই তারা আমাদের কাছে ৪ হাজার টাকা দাবি করছে। আমরা এখন রোগী নিয়ে অনেক বিপদে আছি আমরা এর আশু প্রতিকার চাই।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়,গোপালগঞ্জ শেখ ছায়ে রা খাতুন মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের ভারপ্রা প্ত পরিচালক ড. নিয়াজ মোহাম্মাদ অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করতে নিষেধ করেছে।তিনি অ্যাম্বুলেন্স কমিটির সাথে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে এই সকল কর্মকাণ্ড করছে তিনি অপরদিকে দেখা যায় মেডিকেল কলেজের করিডোরে বিভিন্ন ক্লিনিকের গাড়ি ঔষধ কম্পানির গাড়ির অভাব নাই।সেগুলোর দিকে খেয়াল না করে সে অ্যাম্বুলেন্সে র ঢুকতে নিষেধ করেছে।
এই সেই ড. নিয়াজ মোহাম্মাদ সে আগেও করোনা কালীন সময়ে নানা বিধি দুর্নীতি করেছিল, যার কারণে তাকে ওএসডি করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন পত্র-পতিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সম বায় সমিতির সভাপতি মো. ঝিকু মোল্লা বলেন,আমরা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী আমরা ২৪ ঘণ্টা রোগিদের সেবা প্রদান করে থাকি।রাত তিনটার সময় ফোন দিলেও আ মরা বসে থাকি না,আমাদের অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায়থাকলে গাড়ির অনেক সমস্যা হয়,মেডিকেল কলেজেরভিতরে আমাদের পার্কিং এর জায়গা আছে তার পরেওআমাদে র গাড়ি রাখতে দিচ্ছে না হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরি চালক। আমাদের একটাই দাবি আমাদের অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করতে দিতে হবে,না হলে আমাদের সকল অ্যা ম্বুলেন্স অনিদৃষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল মোল্লা বলেন,হাসপাতালে আমা দের অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং এর জায়গা যথেষ্ট পরিমাণে আছে,ব্যক্তিগত রেস খাটিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করা র জন্য এই চক্রান্ত। আমাদের অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং এর ব্যবস্থা না করা হলে আমাদের ধর্মঘট চলতে থাকবে।
ব্যপারটি খতিয়ে দেখার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক. স্বাস্থ্য বিভাগের উপর্যুক্ত সকল কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ শেখ ছায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. নিয়াজ মোহাম্মাদ বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছুই জানি না। যা করার আগের পরিচালক মনোয়ার করে গেছে।