জেলা প্রতিনিধি
—————————————-
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চলছে আনাড়ি হাতের চিকিৎসা। বুধবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় জরুরী বিভাগে যেয়ে দেখা যায় এই অরাজকতা।
সরেজমিন তদন্তে দেখা গেছে,২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডাক্তারের অফিস কক্ষে ডাক্তার নাই। তখন জরুরী বিভাগে কর্মরত নার্সরা রোগীদের সেবা করছে।খবর নিয়ে জানা গেল, সকালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছে ডাঃ মামুনুর রশিদ মৃধা। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিনি ডাক্তারদের বিশ্রাম কক্ষে ঘুমাচ্ছেন।তার পরিবর্তে চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রাহাত। আরো জানা গেল, এই রাহাত এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি এবং তিনি অত্র হাসপাতালের বৈধ কোন চাকুরীজীবি না।বিশ্রামক্ষে বসে চিকিৎসা দেয়া কতটুকু বৈধ তা জানতে অত্র হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নূর মোঃ শামসুল আলম এর মুখোমুখি হলে তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে এড়িয়ে যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, জরুরী বিভাগের ডাক্তারগণ একনাগাড়ে দুই দিন ডিউটি করে পরবর্তী পাঁচ দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকে। এটা শ্রম আইনের লঙ্ঘন বলে তারা জানিয়েছে। এছাড়া তারা আরো বলেন,ডাক্তারদের নিজস্ব এপ্রোন,নেমপ্লেট না থাকায় রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে রাতদিন আলাপচারিতা তো রয়েছেই। জরুরী বিভাগে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের জন্য রোগীরা ঠিকমত সেবা পাচ্ছেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান,পাশ না করা মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া ভয়ংকর ব্যাপার। বৃহস্পতিবার (২রা নভেম্বর) সকালে জনৈক রোগী জরুরি বিভাগে যায়। মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট নিজেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিচয় দিলে রোগীর স্বজনরা ঐ ডাক্তারকে চ্যালেন্জ করে।পরে তার পরিচয় প্রকাশ হলে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে। এরকম ঘটনা আরো বেশ কয়েকবার উক্ত হাসপাতালে ঘটেছে।এব্যাপারে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।