May 20, 2024, 3:28 pm
শিরোনামঃ
পুলিশ যথাযথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম – আইজিপি ডিবি পুলিশের অভিযানে ময়মনসিংহে ৫ হেরোইন ব্যবসায়ী গ্রেফতার প্রাইভেট পড়ানোর নামে স্কুল ছাত্রদের সাথে বিকৃত যৌনাচার; শিক্ষক গ্রেফতার- সিআইডি মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর আচরণ বিধি লঙ্ঘনই মোটরসাইকেল মার্কার প্রচারণার কৌশল পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে – আইজিপি ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান; গ্রেফতার ২০ জন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

বাসায় সার্টিফিকেট বানান বোর্ড কর্মকর্তা, বিক্রি হয় ৩৫ হাজারে

Reporter Name

প্রথম বাংলা -রাজধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনি ময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হ ওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্ম সম্পর্কে জানেন অনেকেই।তিনি একা নন,বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এতে জড়িত। অনেকে তার অপকর্মের আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(ডিবি) মোহা ম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরে রবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টি ফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম।

এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যেকাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগ জ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন।অর্থাৎ তিনি শি ক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন।

রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন,তবে ৩৫ হাজারে র কমে কাজ করতেন না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারেআপলোড করে দিতেন। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন,অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আ বার অনেকে চাকরি করছেন এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

ডিবি প্রধান বলেন,গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বো র্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন,শিক্ষা বোর্ড থেকেস নদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো, এই প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন— সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতোএমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টি ফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটিগঠিত হয়েছে।বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলে ন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান বলেছেন,সার্টিফিকেট তৈ রির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো সবকিছুই তদন্ত করছি তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

হারুন বলেন,শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সে অনেক ব্যাপারে চুপ থাকছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page