প্রথম বাংলা – জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে র্দীঘ ২০(বিশ) বছর আত্মগোপনে থাকা অপহরণসহ শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন এবং তৎসহ ১৪ বছরের সশ্রম দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আঃ হামিদ (৪০)‘ কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ।
বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই স্লোগান সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষন, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী আঃ হামিদ (৪০) তার একই গ্রামের ভিকটিম রুজিনা বেগম (১৩) এর বড় বোনকে ঘটনার কয়েক বছর পূর্বে বিবাহ করে। ভিকটিমের বড় বোনকে বিবাহ করে সংসার করা অবস্থায় গত ইং ০৪/০৮/২০০৩ খ্রি. তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামী তার শ্যালিকা ভিকটিম রুজিনা বেগম(১৩) কে স্কুল থেকে বাড়ীতে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়ীতে উঠিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে তিন দিন আঠক রেখে ভিকটিমকে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেখানে আহত অবস্থায় রেখে গ্রেফতারকৃত আসামী বাড়ীতে চলে আসে।
পরবর্তীতে, ভিকটিম রুজিনা বেগম (১৩) স্থানীয় লোক দের সহায়তায় তার বাড়ীতে এসে পরিবারের লোকজনকে বড় বোন জামাই কর্তৃক অপহরণ হয়ে ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার একটি অজ্ঞাত বাড়ীতে তিনদিন আঠক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করে। উক্ত ঘটনায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানা এলাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্যালিকা‘ কে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর হতেই দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ আসামী তার আসল নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্রে ছদ্মনাম ধারন করে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী আঃ হামিদ (৪০) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, নেত্রকোণা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩ এর ৯ (১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃত আসামী আঃ হামিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপহরণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অতিরিক্ত আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, চলতি বছরের ৩০ মে রাত অনুমান ১০.১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৪,সিপিএসসি,টিটিসি, ময়মন সিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে অপহরণসহ শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন এবং তৎসহ ১৪ বছরের সশ্রম দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ১। আঃ হামিদ (৪০), পিতা- হাফিজ উদ্দিন, সাং- বাড়েঙ্গা, থানা- পূর্বধলা, জেলা- নেত্রকোনা‘ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।