প্রথম বাংলা – আলোচিত ডিজাইনার ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জন আসামীকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা তেজগাঁও-বিভাগ ।গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ মিল্লাত হোসেন মুন্না,মোঃ আনোয়ার হোসেন ও এহসান ওরফে মেঘ। তৃতীয় লিঙ্গের এহসান ওরফে মেঘের হেফাজত থেকে হত্যার পর লাশ বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১১৯৪৪) উদ্ধার করা হয়।সোমবার (২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রি.) দুপুরে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশ নার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।গত ৮ই মার্চ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইমতিয়া জ মোহাম্মদ ভূইয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ইমতিয়াজের বাসা তেজগাঁও এলাকায় হওয়ায় তেজগাঁও বিভাগের তেজঁগাও জোনাল টিম ছায়া তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে জানা যায়, গত ৮ মার্চ ২০২৩ সন্ধ্যা ৬.৪৫ টায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার চিত্রকোট ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশের ঝোপ থেকে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
তিনি আরো বলেন,তেজগাঁও জোনাল টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ডিবির সহযোগিতায় হত্যা মামলার সাথে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর রবিবার (২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রি.) সিরাজগঞ্জ ও রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে মিল্লাত হোসেন মুন্না ও আনোয়া রকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নারায় ণগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকা থেকে ডিবি তেজগাঁও জোনা ল টিম ও মুন্সিগঞ্জ জেলা ডিবি এহসান ওরফে মেঘকে গ্রেফতার করেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্প র্কে ডিবি প্রধান বলেন,আসামীরা সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গে র। তারা একটি চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে সমকামী লোকজ নকে রুম ডেটের কথা বলে টার্গেট করে।পরে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সময় হত্যা পর্যন্ত করে থাকে।ভিকটিম ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার সাথে পলাতক আসামী আলিফের গে চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ ২০২৩ দুপুরে আলিফকে ইমতিয়াজ ফোন করলে আলিফ তাকে কলাবাগান থানার ৭৯/৩, ক্রিসেন্ট রোডের আরাফা তের বাসায় যেতে বলে।
ইমতিয়াজ সেখানে গেলে আলিফ ও ভিকটিম রুমের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আলিফের সহযোগী আরাফাত,মেঘ,মুন্না ও আনো য়ার রুমে প্রবেশ করে ইমতিয়াজকে মারধর শুরু করে ইমতিয়াজের নিকট বড় অংকের অর্থ দাবি করে। ইমতিয়া জ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা ইমতিয়াজের বুকে ও পিঠে আঘাতসহ প্রচন্ড মারধর করে। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামীরা পরিক ল্পনা করে সুকৌশলে বাসা থেকে মৃতদেহ নামিয়ে মেঘের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগে র উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ গোলাম সবুর পিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শফি কুল ইসলামের এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও তেজগাঁও জোনা ল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ এনামুল হক মিঠু পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।