সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবিঃ
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকা সিনিয়র রিপোর্টার।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় অনঅভিজ্ঞ ধাত্রীর অপচিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু এলকায় তোলপাড়।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের হাগুরার ভিটা গ্রামে এক অনঅভিজ্ঞধাত্রীর অপচিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে।এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ওই এলাকা গিয়ে জানা যায়
মোছাঃ মিনারা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা প্রসব করে আসছেন।
বিভিন্ন জায়গায় তার বিভিন্ন রকমের অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৭.০৯.২০২২ তারিখ এমনিএক ঘটনা ঘটেছে
পুর্ব কাজের ফলাফল দাবিয়ে রাখলেও এবার ঢোল পিটিয়ে বেড়ুলো ধাত্রীর অনঅভিজ্ঞের ফল।
কথায় বলে ধর্মের ঢোল আপনি বাজে।
মোছাঃ আফরোজা বেগম (৩৫)
স্বামী আব্দুল খালেক,
ইউনিয়নঃ বুড়াবুড়ী,
মাস্টার পাড়া (হাগুরারভিটা) গ্রামের বাসিন্দা।
গত
মানুষ মরুক টাকা আমার চাই।
গত ১৭.০৯.২০২২ ইং
ধাত্রী মিনিরা বেগম
তার পুর্ব ব্যবসাকে গর্ভখালাসে লাগায়ে প্রসূতি আফরোজা বেগমের মৃত্যু ঘটায়।
আব্দুল খালেক তার স্ত্রীকে একপর্যায় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিকটতম ধাত্রী মিনারা বেগম বিষয়টি জেনে ছুটে যান এবং তাদেরকে বলেন
হাসপাতাল গেলে অনেক টাকা খরচ হবে আমাকে ৫’ হাজার টাকা দেন আমি খালাস করে দিব।
মূর্খ আব্দুল খালেক
তার আশ্বাস পেয়ে
ধাত্রীর হাতে কাজ দেন।
ধাত্রী মিনারা ইউট্রাক্সের ভিতর দিয়ে হাত ঢুকালে রোগী চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হন।
অজ্ঞান হওয়ার পর একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান জীবিত জন্ম গ্রহন করেন সংগে সংগে প্রচুর রক্ষরণ শুরু হয়।
তখন রাত ১২ টা।
প্রসুতির দেবর মালেক মিয়ার স্ত্রী বলেন,
আমরা দেখেছি
পেট থেকে একটি ছেঁড়া নাড় বের হয়ে এসেছে।
রক্তক্ষরণ বেশী হওয়ায়
সামলাতে না পেরে মিনারা বেগম স্থানীয় ডাঃ ডাকতে বলেন।
স্বামী আঃ খালেক ধাত্রীর কথায়
স্থানীয় ডাঃ নিয়ে আসেন তার বাড়িতে।
জানা যায়
প্যারামেডিকেল সার্টিফিকেট ধারী ডাঃ বিদ্যুত মিয়া ঘটনা স্থানে এসে অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে হাসপাতাল যাওয়ার পরামর্শ দেন।
হাসপাতাল গিয়ে ডাঃ দেখার আগে রোগী মারা যান।
পরে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে এসে পারিবারিক
ভাবে স্বামীর বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করা হয়।
এমনি তথ্য পেয়ে সাংবাদিকগণ তার নৈতিকদ্বায়ভার কাঁধে নিয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায়।
রোগীর পরিবারের লোকেরা তথ্য দিতে চাননা।
এলাকাবাসিদের মধ্যে সঠিক তথ্য দিলেও নিজের নাম গোপন রাখেন।
এমন অনঅভিজ্ঞধাত্রী গণ সাহস দেখিয়ে রোগী মেরে ফেলেন প্রতিবেশিরা তা মেনে নিতে পাচ্ছেননা।
বলতে গেলে ধাত্রীর বড় ছেলে মিলন সবার সাথে চড়াও হন।
আরও জানা যায়,
ধাত্রীর বড় ছেলে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত এবং সেবন করেন।
গত ২০ তারিখ সকাল ১০টায় একদল সংবাদ কর্মী
বিষয়গুলির তথ্য চাইলে কাছে ভীড়তে চাননা রোগীর পরিবার বর্গের অনেকে।ধাত্রী মিনারা বেগমের কাছে তথ্য চাইতে গিয়ে আজকের জনবাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম মুকুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
ধাত্রী মিনারা বেগমের বড় ছেলে মোঃ মিলন মিয়া
সাংবাদিক দেখে বলেন,
আমি বড় সার্টিফিকেট করে নিয়ে আসবো টাকা দিয়ে দেখি কোন সাংবাদিক তথ্যনিতে আসে তার মাথা ফাটিয়ে দিব এ কথা বলে
সাংবাদিক মুকুল সাহেবের উপর ক্ষেপিয়ে আসেন।
তৎক্ষণিক ছোট ভাই লিটন তার বড় ভাই মিলনকে আটকে দেয়।
সাংবাদিকগণ তেমন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন নাই।
সংবাদ তথ্যে বাধা দেয়ায় সঠিক তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থ সাংবাদিকগণ।
বাকিটুকু প্রশাসনের নজরে রাখা হল।
এমন কুচক্রি ধাত্রী গ্রাম থেকে উৎখাত করানো হোক প্রতিবেশীর দাবী।ধাত্রী মিনারা বেগম, স্বামী মোঃ মোকসেদ আলী, কুড়িগ্রাম জেলাধীনের ইউনিয়ন মোঘলবাসা,
চরসিতাইঝাড়ের বাসিন্দা।