সুলতানা রাজিয়া (সান্ধ্য কবি) মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সংবাদ ( নির্বাহী সম্পাদক)
কুড়িগ্রামের উপজেলা উলিপুরের বন্যায় প্লাবিত হয় উপজেলার বেগমগঞ্জ সহ বিন্দুর চর এলাকা এক মাস ধরে ৭০-৭৫ ভাগের বেশি এলাকা হয়েছে জলমগ্ন।
বিপুল পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসত বাড়ি ও রাস্তাঘাট। এবারের বন্যা ভয়াবহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তলিয়ে গেছে বেগম গঞ্জ ইউনিয়নের ব্রিজ,কালভাট,স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, ভোট সেন্টার, কবর স্থান, মসজিত মাদ্রাসা, প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট। দুর্ভোগ বেড়েছে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন বাসীর।
ফসলহানি, ঘরবাড়ি নষ্ট হওয়া জান মালের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার এই সামলাতে এখন হিমসিম খাচ্ছে বেগমগঞ্জের মানুষ। স্থানীয়রা যে সব সড়কে চলাচল করত তা এখন জলমগ্ন।
এতে বানিজ্য ব্যবস্থা সহ দৈনন্দিন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে জেলায় প্রায় কয়েকটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বিন্দুর চরের- মহুবর, মুকুল মিয়া সহ আরো অনেকে জানান, আমাদের বাড়ি নদীতে ভেসে গিয়েছে।
এদিকে বিন্দুর চর থেকে উপজেলা যাতায়াতের এক মাত্র পথ বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের শিমুল তলা সড়কের বন্যারক্ষা ব্রিজটির উপর দিয়ে রাস্তাটি প্রায় ২কিঃ মিঃ ভেঙ্গে চুরমার।
উপজেলা সদর যাওয়ার বিন্দুর চরের মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা।
এলাকাবাসি জানান,প্রায় ৩৫টি নৌকা যোগে সর্বক্ষণ আমাদের এলাকার মানুষ হাট বাজারে যাতায়াত করছেন।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বাবলু মিয়া জানান,
এই মৌসুমে অতিরিক্ত ভারীবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রহ্মপূত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এই ইউনিয়নের বাড়িঘর সহ বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
আবাদ মৌসুম ও গাছ পালারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে অদ্য ৫ জুলাই জেলা থেকে ইউএনও মহোদ্বয় ও পুলিশ সুপার সহ আরো অনেকে এসেছেন, তারা বলেছে যে, আগামী ৮ই জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়ানো অব্যাহতি থাকতে পারে ।
বন্যা কবলিত অসহায় মুনুষের জন্য কিছু ত্রাণও নিয়ে এসেছেন যা চাহিদা মিঠানো নয়।
তেনারা চলে গেলে আমাকে
জনসাধারণের তোপের মুখে পড়তে হয় গালিগালাজও শুনতে হয়।
তিনি আরও জানান,
২২সালের চেয়েও ভয়াবহ এবারের বন্যা’
প্রাথমিক ভাবে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী অনতিবিলম্বে নদী ও খালের পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও ব্রিজ মেরামত ও সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে এগিয়ে আসা উচিত। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ঘাটের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক ও অন্যান্য অব কাঠামো সংস্কার করা দরকার।
এর আগে বেগমগঞ্জের বিন্দুর চরের এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখতিভাবে জানানো হয়েছে তবে কোন প্রকার আমলে নেননি বলে জানান তিনি।