নূর মোহাম্মদঃ
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম.সজীবের খুনি দের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চন্দ্র গঞ্জ থানা ছাত্রলীগ।রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে চন্দ্র গঞ্জস্থ ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মানবব ন্ধন পালন করা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে দলের শ ত শত নেতা-কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে খুনিদে র বিরুদ্ধে মুর্হুমুহ স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলে পুরো বাজার।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেবের সভা পতিত্বে মানববন্ধনে এসময় বক্তব্য রাখেন,চন্দ্রগঞ্জ থা না আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহম্মেদ ,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব,স্থানীয় ইউপি চেয়ার ম্যান নুরুল আমিন, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিঠন,সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলাইমান,চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক লীগের সভাপতিজাকি র হোসেন জাহাঙ্গীর,থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রুবেল,চন্দ্রগঞ্জ থা না ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদুর রহমান মাসুদ,চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম,ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো . সাহাব উদ্দিন,যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন ও শাহপরান শাকিল প্রমুখ।
খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।আমার ভাই কব রে খুনি কেন বাহিরে? অবিলম্বে খুনি কাজী বাবলুর ফাঁসি চাই দিতে হবে।
প্রসঙ্গত,গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপা ড়া গ্রামের জৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব,সাইফুল পাটোয়ারী,মো. রাফি ও সাইফুল ইসলা ম জয়ের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় সশস্ত্রসন্ত্রা সীরা একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা।
এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাস পাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব,সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবীড়পর্যবে ক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যায়।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলার ২ নং আসা মি তাজু ভূঁইয়াসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কিন্তু প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।