নূর মোহাম্মদঃ
মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৪ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও গুলির ঘটনায় গুরুতর আহত সজিব ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টায় মারা যান।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যদির পুকুর পাড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সজিবসহ ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন। সজীব তার অনুসারী ছিলেন।
ঘটনার পর মাসুদ তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, সজীবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। পরদিন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। আমার ভাইটাকে তারা মেরে ফেলল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানা ধীন পাঁচপাড়া গ্রামের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব,সাইফুল পাটোয়ারী,মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্ত রা।একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়
এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানো হয়।পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা হাসপাতালের কর্তব্যর ত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব,সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
পুলিশ চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন।মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান হয়।কিন্তু কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।