January 20, 2025, 12:16 pm
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষ থামাতে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান

Reporter Name

মোঃ রতন আলী মোড়ল জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর

সাম্প্রতিক সময়ের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপ এবং গত নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলি ল মাদবর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ইতিপূর্বেই তিন দফা মুখোমুখি সংঘর্ষে হাজার-হাজার ককটেল /হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘোটানো হয়। যার ফলে নারী ও পথচারীসহ আহত হয়েছে অনেক মানুষ।এই ঘটনায় একাধিক মামলার বিপরীতে বেশ কিছু আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পুলিশ বিলাসপুর ইউনিয়নে নিয়মিত টহল দিয়েই চলেছে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকে বোমা বানানোর সরঞ্জাম এবং তৈরি হাতবোমাও উদ্ধার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।

বুধবার (১লা মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জাজি রার দূর্বাডাঙ্গা এবং বিলাসপুরের বেশ কিছু জায় গায় ফের দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় দু’টি পক্ষ। এসময় দুটি পক্ষ প্রায় হাজারখানেক ককটেল/হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একজনের ডান হাত বোমার আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।আহতরা বেশিরভাগই আ: জলিল মাদবর গ্রুপের লোক। যার মধ্যে মেহের আলী মাদবর কান্দি এলাকার সুলতান মাদবরের ছেলে সুজন মাদবর(২৫)। তার ডান কবজি বোমের আঘাতে পড়ে গেছে। এছাড়া বাম হাতে বোমের ইঞ্জুরি এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বোমার বিভিন্ন অংশ বিদ্ধ হওয়া ছাড়াও বাম পায়ে বোমের আঘাত রয়েছে।

বাকিরা হচ্ছেন একই গ্রামের আ: খালেক মাদবরের ছেলে রাসেল মাদবর (২৮),যার ডান এবং বাম পায়ে বোমের আঘাত। মুলাই বেপারী কান্দির আ: রশিদ খার ছেলে খোকন খা(৩৮),তার ডান পায়ের নিচে বোমের আঘাত এবং সারেং কান্দির আ: রহমান সারেংয়ের ছেলে তোতা মিয়া সারেং(৩৮), তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বোমের আঘাত।আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক বচিকি ৎসা দেয়ার পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে হাত বিচ্ছি ন্ন হয়ে যাওয়া সুজন মাদবর ঢাকা মেডিকেল কলে জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কবির আলম জানান,সকাল থেকেই বিলাসপুরে সংঘর্ষে আহত চারজন রোগী আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে আমরা তাদের প্রাথমি ক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডি কেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেই।অন্যদি কে সকালে সংঘর্ষ বাঁধার পর থেকে সারাদিন জাজি রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কাম রুল হাসান সোহেল এর নেতৃত্বে জাজিরা থানা পুলিশ,র‍্যাব-৮ এর ১টি টিম এবং আনসাররা যৌথ ভাবে টহল দিয়ে যাচ্ছে বিলাসপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। যার ফলে দুপুরের মধ্যে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ায় সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়।তবে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেহের আলী মাদবর কান্দির ফরিদা বেগমের বাড়িসহ সারেং কান্দি,চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এবং মুলাই বেপা রী কান্দির বেশ কিছু বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফি জুর রহমান জানান,সকালে সংঘর্ষ বাঁধার পরেই আমরা র‍্যাব এবং আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মক র্তাসহ যৌঠভাবে ঘটনাস্থলে টহল দিয়ে যাচ্ছি। আপা তত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া আমরা ৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেছি।জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুল হাসান সোহেল জানান,আমরা বিলাসপুরের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যৌথভাবে টহল দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিকরাও আমাদের সাথে রয়েছেন আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST