সুলতানা রাজিয়া( সান্ধ্য কবি) নিজস্ব প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রাম উলিপুরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মোঃ খোরশেদ আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের
একটি বসত টিনসেড বিল্ডিং ঘর,বড় রকমের ফাট ধরে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।মনোয়ারা বলেন, ঘরটি ফেটে যাওয়ার ফলে ভয়ে- শঙ্কায় জীবন যাপন করছি।
আমার ঘরে বসত সহ মূল্যবান আসবাব পত্রও রাখার মত আর উপযুক্ত নয়।যিনি এই গর্ত দিয়েছেন তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের উপর অন্যায় করছেন।
মনোয়ারা বেগম বলেন বিবাদী মোঃ মোকছেদ আলী পিং মোঃ গফুর আলীর জমি সংলগ্ন আমার বসত বাড়ি থাকায় আজ দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর হইতে আমার বসত বাড়ির পূর্ব পাশ্বের সীমানা ঘেষিয়ে গভীর গর্ত খনন শুরু করে। এই খনন করা সংলগ্ন আমার টিনসেড বিল্ডিংটি খাল খননের মাটিতে ডেবে গিয়ে ভেঙ্গে না যায়,আমার ক্ষতি না হয় এ জন্য তাকেআমি খননকৃত গর্তটিতে বালু ভরাট করে দিতে চেয়েছিলাম তাতেও তিনি রাজি হয়নি।গর্তটি এমনভাবে করেছে যে আমাদের ঘরের একটা অংশ
মাটির নীচে চলে গেছে ফলে অনেকখানি ক্ষতি কয়েছে।
এলাকার লোকজন একাধিকবার বিবাদী মোকছেদ আলীকে গভীর গর্ত খনন করিতে বাধা নিষেধ করার পরও তাহার গভীর গর্ত খনন করা অব্যাহত রাখে। গভীর গর্ত খনন করার কারনে যে কোন সময় অবশিষ্ট ঘর রাতের আধারে ভেঙ্গে পড়িয়া জীবন নাশের আশংকা আছে।
স্থানীয় মেম্বার সহ অনেকের মধ্যে মোঃ আকতারুল ইসলাম, মোঃ আরিফ রহমান বলেন, আমরা শতচেষ্টা করেও ফলপ্রসূতে সমাধান আনতে পারি নাই।
এমতাবস্তায় চলতি বছর গভীর গর্তের কারনে আমার পাঁকা ঘরের পিছনে১৫/১৬ হাত ওয়াল বাথরুম ভাঙ্গিয়া অনুমান ১,৫০,০০০/ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। ফলে ঘটবার দিন ১৫-০৮-২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ টায় আমি থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি।
মোছাঃ মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন,
প্রশাসন তদন্ত করেছেন তবে এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা পাচ্ছিনা এদিকে আমাদের টিনসেড বিল্ডিংটি পুর্বদিকে বাঁকা হয়ে যাওয়ায় আমরা আশংকাবোধ করছি। বর্তমান আমাদের জীবন নাশের তুমকি হয়ে পড়েছে এই বসত ঘরটি।আমার আকুল আবেদন প্রশাসনের সুদৃষ্টি আর্কষণ করছি দ্রুত বিষয়টি নজরে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা করে আমাদের বসবাস করার সুব্যবস্থা করে দেয়া হোক।