মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন সিনিয়র রিপোর্টার:
ভুক্তভোগী প্রবাসী। প্রায় ৫ মাস পূর্বে মিজানুরের সাথে তার দুবাইতে দেখা হয়। দুবাইতে বসবাসের প্রেক্ষিতে ধৃত আসামী মিজানুরের সাথে পরিচয় এবং সু-সম্পর্ক গড়ে উটে। আসামী মিজানুর দুবাই থেকে দেশে আসার সময় ভুক্তভোগীকে নিজ পরি বারের জন্য স্বর্নালংকার,ল্যাবটপ এবং মোবাইল পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ভুক্তভোগী ভিকটিম তার কথায় বিশ্বস্ত হয়ে কিছু স্বর্নালংকার,ল্যাবটপ ও মোবাইল বাড়ীতে পাঠানোর কথা বললে মিজানুর তখন বলে এতকিছু পাঠালে আপনি আমাকে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট করে দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি হয়ে বিমানের টিকেট করে দেয় এবং ডেল ব্রান্ডের ০১টি ল্যাবটপ যার আনুমানিক মূল্য ২,২০০০০/- টাকা, এ্যাপল ব্রান্ডের ০১টি আইফোন-১৪ মোবাইল যার আনুমানিক মূল্য ১,৪৮০০০/- টাকা ও ০২টি স্বর্ণের বার এবং ১০০ গ্রাম স্বর্ণের গহনাসহ মোট ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ, যার আনুমানিক মূল্য ২২,৪৭,৫০০/- টাকা এগুলো দেশে নিয়ে ভিকটিমের ভাই মোঃ তাজ উদ্দিন এর কাছে দিতে বলে।
মিজানুরকে উক্ত মালামাল বুঝে দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ভিকটিম তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ভিকটিম মিজানুরের বাড়ীতে থাকা তার মা-বাবার সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে তাদের ছেলে এই ধরনের কাজ করবে কেনো, তার ছেলে তো র্যাবে চাকরি করে। ভিকটিম তখন বিষয়টি মিজানুরের এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানায়। তারা উক্ত আসা মীর কোন খোঁজ-খবর না পাওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। তখন ভুক্তভোগী ভিকটিম গত ১৯/০ ২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বাংলাদেশে এসে মিজানুরকে খোঁজ করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ভিক টিম গত ০৩ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাত অনুমানিক ৯ ঘটিকায় মিজানুরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দঁগাও থানাধীন চান্দঁগাও আবাসিক এলাকায় দেখতে পায় । তখন ভিকটিম ও সাথে থাকা আরো দুজন বন্ধুকে নিয়ে মিজানুরের কাছে গিয়ে তার মালামালের কথা জিজ্ঞাসা করলে মিজান বলে আমি এখন র্যাবের লোক এই বলে সে পকেট থেকে র্যাবের একটি ভূয়া আইডি কার্ড দেখায় এবং তার কোমড় থেকে ০১টি খেলনা পিস্তল বের করে বলে আমার কাছে মালামা ল চাইলে তোমাকে জানে মেরে ফেলবো বলে হুমকী দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ভিকটিম বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করলে,র্যাব-৭,চট্টগ্রাম বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমলে নিয়ে একটি আভিযানিক দলের মাধ্যমে গত ০৩ মার্চ ২০২৩ তারিখ বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মিজানুর রহমান (২৫),পিতা-শফিকুর রহমান,সাং-পূর্ব চাম্বল,থানা-বাশঁখালী,জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটক কৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতআসামী বর্ণিত ঘটনা স্বীকার করে জানায়,সে দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে মূল্যবান জামানত টাকা-পয়সা, স্বর্নালংকার, মোবাইল ও ল্যাবটপ ইত্যাদি আত্মসাৎ করে আসছে এবং তার দখলে থাকা মোবাইলের মধ্য হতে তার Mizan নামীয় টিকটক এ্যাকাউন্ট, যার প্রফাইল লিঙ্ক @afrahandafnan-এ পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদৃশ্য পোষাক পরিহিত ছবি রয়েছে মর্মে জানায়। এছাড়াও ধৃত আসামী মিজান প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ কিংবা মূল্যবান জামানত আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে পুলিশ,র্যাব ও সেনাবাহিনীর পরিচয় ও পোষাক পরিহিত ছবি ব্যবহার করত মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।