প্রথম বাংলা – দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন আও য়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. সাহাবু দ্দিন চুপ্পু। আর কেউ এ পদে মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নামই ঘোষণা করা হবে।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম চূড়ান্ত করেন।
রোববার রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবু দ্দিন চুপ্পুর নাম নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কাছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে সর্বসম্মতি ক্রমে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোন য়নপত্র দাখিলের সময় ছিল বিকেল চারটা পর্যন্ত। আর কেউ এ সময়ের মধ্যে মনোনয়ন জমা না দেও য়ায় মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ছিলেন একক প্রার্থী। এক্ষে ত্রে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন বাছাইয়ে বৈধ হলে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক এ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোন য়ন পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার সকালে গণভবনে তিনি সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী,আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ে র পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী না থাকায় সংসদ অধিবেশন কক্ষে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।