প্রথম বাংলা -পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল ও আশপা শের সমগ্র এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সমগ্র এলাকা রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশ নার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
সোমবার বেলা ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সেরসম্মে লন কক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানস্থল ঘিরেনিশ্ছি দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অনুষ্ঠানস্থলে কোন প্রকার ব্যাগ নিয়ে আসা যাবে না।
তিনি বলেন,যে সব সংগঠন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে তাদের একজন করে প্রতিনিধিপুলিশ কন্ট্রোল রুমে যেখান থেকে সিসিটিভি মনিটরিং করা হ বে সেখানে পুলিশের সাথে থাকবে।যদি কোথাওসন্দে হভাজন কাউকে দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে সিসিটি ভি ক্যামেরা দেখে তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথাও কোন প্রকার নিরাপত্তার ব্যত্যয় দেখা দিলে সাথে সাথে ওই এলাকার দায়িত্বরত অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
তিনি বলেন,বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রার পথও আশপাশের এলাকা ভিডিও কাভারেজের মধ্যে রাখা হ বে।কোন দুষ্কৃতিকারী যদি বাইরে থেকে কোন অপতৎ পরতা চালানোর চেষ্টা করে তাহলে ভিডিও ফুটেজ দে খে সহজেই তাকে সনাক্ত করা যাবে। যদিও এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর কোন গোয়েন্দা তথ্য আমাদে র কাছে নেই, তবুও সতর্কতার স্বার্থে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন,বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সাইবার গুজ ব প্রতিরোধের জন্য ডিএমপির সাইবার টিম প্রস্তুতরয়ে ছে। কোন প্রকার সাইবার গুজব কারো নজরে আসলে প্রথমেই পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটনপুলিশে র পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থলে আগত দ র্শনার্থীদের জন্য সুপেয় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাথেই ডিএমপির উদ্যোগে ভ্রা ম্যমান চিকিৎসা টিম থাকবে।পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে মসজিদে যাতে কোন প্রকার নেতিবাচক প্রচা র বা আলোচনা না করা হয় সেজন্য ইসলামী ফাউন্ডেশ নের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডিএমপিকমিশ নার।ডিএমপি কমিশনার বলেন,সেফটি ফার্স্ট,এটি শু ধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় এটা সারা পৃথিবীতেই প্রযো জ্য।বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সবচেয়েবড় অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান এবং জাতীয় অনুষ্ঠান। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলেই এতে অংশগ্রহণ ক রি রমনাতে সকলের একটি মহামিলন ঘটে। সেই মহা মিলনটা যাতে সুন্দর করে আমরা সম্পন্ন করতে পারি সেজন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর এম মাকসুদুর রহমান; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেরঅতিরি ক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজআ ক্তার বিপিএম (বার) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদো ন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতি রিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত);অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম; অ তিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জা মান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গো য়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পি পিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ,উপ-পুলিশ ক মিশনারগণসহ; র্যাব,স্পেশাল ব্রাঞ্চ,নৌ-পুলিশ,টুরি স্ট পুলিশ,এমআরটি পুলিশ,ডিজিএফআই,এনএসআই ফায়ার সার্ভিস,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,বাংলা একাডেমি,গণপূর্ত অধিদপ্তর,ঢা বির চারুকলা অনুষদ,ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পো রেশন,ঢাকা ওয়াসা,ডিপিডিসি,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ছায়ানট,ঋষিজ শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।